পায়রা বন্দরে ঘূর্ণিঝড় আতঙ্কে উপকূলবাসী

  10-11-2019 12:38AM



পিএনএস ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’এ সৃষ্ট নিম্নচাপে সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। এ কারণে পায়রা সমুদ্রবন্দরসহ উপকূলীয় এলাকায় ১০ নং মহাবিপদ সংকেত দেখানো হয়েছে। ঘুর্ণিঝড়টি উপকুলীয় এলাকায় আঘাত হানবে এই আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে সাগর উপকূলীয় লক্ষাধিক মানুষের। পটুয়াখালী উপকূলীয় এলাকায় সর্বত্র গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে।

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে শনিবার ভোর থেকে টানা বর্ষণ শুরু হয়। দিনভর একটানা বর্ষণ পর বিকেল থেকে থেমে থেমে মাঝারী ভারী বৃষ্টি হয়। সন্ধার পরে গোটা উপকূল জুড়ে আতঙ্ক বইছে। কেউ নিরাপদ আশ্রয় নিচ্ছেন নিকট আত্মীয়র বাড়িতে, আবার কেউ ছুটছেন আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে। উপকূলের দিকে এই দুর্যোগটি আঘাত হানবে এ কারণে প্রস্তুত রয়েছে রাঙ্গাবালী ও কলাপাড়া উপজেলাসহ উপকূলীয় পটুয়াখালীর প্রশাসন। মানুষের আশ্রয়ের জন্য ৫৮টি সাইক্লোন সেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেখানে ইতোমধ্যে কয়েক হাজারের অধিক লোক আশ্রয় নিয়েছেন।

বঙ্গোপসাগরের নিকটবর্তী এলাকা থেকে রাঙ্গাবালী ইউপি চেয়াম্যান সাইদুজ্জামান মামুন খাঁন জানান, তাদের এলাকার লোকজন পানি ও ঝড়ের সঙ্গেই বসবাস করে থাকেন। দিনের বেলায় তাদের ভয় কম, এই কারণে লোকজন এখন সাইক্লোন সেল্টারে আসতে অনীহা প্রকাশ করছে। রাতের বেলায় লোকজন আশ্রয় কেন্দ্রে চলে আসবে। তবে ইতোমধ্যেই বেরিবাঁধহীন বিচ্ছিন্নদ্বীপ চর কাশেম থেকে ২শ’ পরিবারকে উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হয়েছে। তার এলাকায় ১৬টি স্কুল কাম সাইক্লোন সেল্টার রয়েছে।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের ক্ষতি থেকে জানমালের রক্ষার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। যে কোন ধরনের দূর্যোগ মোকাবেলায় আমরা সক্ষম হব। ইতোমধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে হাজার হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। এখনো যারা নিরাপদে আশ্রয় নিচ্ছেন না তাদেরকে সাইক্লোন সেল্টারে আসতে বাধ্য করা হবে।

রাঙ্গাবালী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান জানিয়েছেন, রাঙ্গাবালী উপজেলায় ৫৮ টি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। তাতে ইতোমধ্যে তিন হাজার লোক আশ্রয় নিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, আজও আগুনমুখা নদীতে এ দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে মাছ শিকাররত কমপক্ষে ৫০টি মাছ ধরা নৌকার জেলেদেরকে নদী থেকে উঠিয়ে দিয়েছেন তারা।

পটুয়াখালী জেলা প্রসাশক মো.মতিউল আলম চৌধুরী জানান, ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলার জন্য জেলার প্রতিটি উপজেলা নির্বাহী কার্মকর্তাসহ সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ভলান্টিয়াররা কর্যক্রম চালচ্ছেন। আশাকরি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলেও বড় ধরণের কোন ক্ষতি হবেনা।

এ দিকে পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসসূত্রে জানা গেছে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে আজ দুপূর ১২টা পর্যন্ত ৪০.৮ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

পিএনএস/ হাফিজ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন