১০০০ যাত্রী নিয়ে মেঘনার চরে আটকা পড়ল লঞ্চ

  13-11-2019 10:50AM


পিএনএস ডেস্ক: প্রায় এক হাজার যাত্রী নিয়ে মেঘনা নদীর চরে আটকা পড়েছে বরগুনা থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ‘এম ভি শাহরুখ-২’ নামের একটি লঞ্চ। লঞ্চটি গতকাল মঙ্গলবার বিকেল চারটায় বরগুনা নৌবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। দিবাগত রাত তিনটার দিকে বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার কালীগঞ্জ সংলগ্ন মেঘনা নদীতে লঞ্চটি চরে আটকে যায়।

আজ বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত লঞ্চটি চরে আটকে ছিল। এতে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

মাসউদ সিকদার নামের একজন যাত্রী অভিযোগ করেন, লঞ্চটি মেঘনার কালীগঞ্জ চ্যানেল যখন অতিক্রম করছিল, তখন অদক্ষ চালক এর সামনের অংশ ডাঙায় তুলে দেন।

আরেক যাত্রী মনির চৌধুরী বলেন, প্রায় ৭ ঘণ্টা ধরে আটকা পড়ে থাকলেও তাঁরা লঞ্চের কর্মচারীদের কোনো সাড়াশব্দ পাচ্ছেন না। এমনকি তাঁরা কোথায় আছেন, সে হদিসও পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে যাত্রীরা সবাই গভীর উৎকণ্ঠার মধ্যে আছেন। তিনি বলেন, এরই মধ্যে যাত্রীদের দুর্ভোগের সুযোগ নিয়ে লঞ্চের ক্যানটিনে খাবারের দাম দ্বিগুণ-তিনগুণ করে নেওয়া হচ্ছে।

কয়েক বছর ধরেই শীত মৌসুমে নিয়মিত নাব্য সংকট দেখা দিচ্ছে মেঘনা নদীতে। বিশেষ করে বরিশালের হিজলা উপজেলা ও চাঁদপুরের মধ্যবর্তী মেঘনার বিশাল অংশের নাব্য সংকট ‘মিয়ারচর’ চ্যানেলের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। নাব্য সংকট এত প্রকট হয়ে ওঠায় মিয়ারচর চ্যানেলকে নৌযান চলাচলের অনুপযোগী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এ চ্যানেলকে অনুপযোগী ঘোষণার পর নৌযানগুলো বিকল্প পথ হিসেবে মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার কালীগঞ্জ চ্যানেল ব্যবহার করছে। এ জন্য তাদের তিন দশমিক চার নটিক্যাল মাইল পথ বেশি পাড়ি দিতে হচ্ছে। অতিরিক্ত জ্বালানি ব্যয় হচ্ছে কমপক্ষে দেড় শ লিটার। কিন্তু বিকল্প এই চ্যানেলও এখন নাব্য সংকটে পড়েছে। ফলে প্রায় দিনেই যাত্রীবাহী নৌযান আটকা পড়ে। এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যাত্রীরা দুর্ভোগ পোহান। আসছে শুষ্ক মৌসুমে এই সংকট আরও ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কর্তৃপক্ষের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন