ভূমি মালিকদের কর্মসূচিতে উত্তাল শেরপুর

  18-11-2019 06:37PM

পিএনএস, শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : উত্তরবঙ্গ মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পে বগুড়ার শেরপুরে ভূমি অধিগ্রহণে ন্যায্য ক্ষতিপুরণের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন ক্ষতিগ্রস্থ ভূমি মালিকরা।

দাবি আদায়ে নানা কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সোমবার (১৮নভেম্বর) বেলা ১১টায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। কর্মসূচিতে বক্তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভূমি মালিকদের ন্যায্য দাবি মেনে নেয়ার আহবান জানান। অন্যথায় সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে বৃহত্তর কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার ঘোষণা দেন তাঁরা। উক্ত কর্মসূচিতে ভূমি মালিকরা ছাড়াও ব্যবসায়ী, আইনজীবি, শ্রমিকসহ নানা শ্রেণীপেশার মানুষ অংশ নেন। সব মিলিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ ভূমি মালিকদের নানা আন্দোলন কর্মসূচিতে উত্তাল শেরপুর উপজেলা।

শহরের স্থানীয় বাসষ্ট্যান্ডে চলা ঘন্ট্যাব্যাপি চলা মানববন্ধন ও সমাবেশে শেরপুর ক্ষতিগ্রস্থ ভূমি মালিক স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির আহবায়ক আলহাজ¦ মুনসী সাইফুল বারী ডাবলু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ¦ শাহজামাল সিরাজী, স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির সদস্য সচিব আলহাজ¦ মাহবুবুল আলম হিরু, সংগঠনের নেতা বিএইচএম কামরুজ্জামান রাফু, আলহাজ¦ শহিদুল ইসলাম শহিদ, মোকাররম হোসেন রবি, আব্দুল কাদের, আব্দুল মোমিন চৌধুরী, আলহাজ¦ নুরুল ইসলাম মন্ডল, অরুপ কু-ু, আলহাজ¦ জালাল উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা আরও বলেন, উত্তরবঙ্গ মহাসড়ক চারলেন প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণে ২০১৭সালের ভূমি অধিগ্রহণ আইন অনুযায়ী বর্তমান শ্রেণী অনুযায়ী ক্ষতিপুরণ দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান। তা না হলে তারা সহায় সম্বল হারিয়ে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন বলেও দাবি করেন তাঁরা।

শেরপুর ক্ষতিগ্রস্থ ভূমি মালিক স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির আহবায়ক আলহাজ¦ মুনসী সাইফুল বারী ডাবলু জানান, সরকারী সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প-২ এর আওতায় শেরপুর উপজেলায় ভুমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসকের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা নোটিশও প্রাপ্ত হয়েছি। কিন্তু জানতে পারছি, বিগত ১৯৬২ সালের এমআরআর রেকর্ড মুলে জমির শ্রেনীকরনের ভিত্তিতে জমির মূল্য পরিশোধ করা হবে। এটা করা হলে জমির মালিকগণ ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। কারণ শেরপুর শহরে মহাসড়ক সংলগ্ন অধিকাংশ জমির মালিক প্রায় ৪০-৪৫ বছর ধরে মহাসড়কের উভয়পাশে দোকান ঘর, মার্কেট, মিল-কারখানা, নিমাণ করে ব্যবসা বাণিজ্য করে আসছেন। এখনও মিল-কারখানা, আবাসিক ভবন, বাণিজ্যিক ভবন বিদ্যমান রয়েছে। যা বর্তমান আর.এস জরিপেও উল্লেখ রয়েছে। এমনকি ভূমি উন্নয়ন কর এবং পৌর কর বাণিজ্যিক হিসেবে প্রদান করে আসছেন। তাই জমির বাস্তব শ্রেনীর উপর ভিত্তি করে ভূমি মালিকদের ক্ষতিপুরণ দেয়ার দাবি জানান তিনি।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন