ছাত্রীদের যৌন নিপীড়ন : সেই মাদরাসা সুপার শহীদ এখন জেলহাজতে

  15-01-2020 03:03PM

পিএনএস ডেস্ক : মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার বহুল আলোচিত-সমালোচিত যৌন নিপীড়নের অভিযোগে অভিযুক্ত জালালিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মাও. আব্দুস শহীদ এখন জেল হাজতে। তাঁর বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানিসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।

এ নিয়ে নির্যাতিতা এক ছাত্রীর বাবা গত বছরের ১৯ আগস্ট মৌলভীবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে মামলা দায়ের করলে মামলাটি আদালত পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। দীর্ঘ তদন্তের পর পিবিআই অভিযুক্ত মাদরাসার সুপার শহীদকে দোষীসাব্যস্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। এরই প্রেক্ষিতে আদালত ৮ জানুয়ারি তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুন্যালে সুপার আব্দুস শহীদ আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাঁকে জেলহাজতে পাঠান। সুপার আব্দুস শহীদের গ্রেপ্তারে মাদরাসার শিক্ষার্থীসহ এলাকার সচেতন মহল স্বস্তি প্রকাশ করেন।

মৌলভীবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম পংকী মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল আদালতের বিজ্ঞ বিচারক বাদী ও বিবাদী পক্ষের মধ্যেকার শুনানি শেষে যৌন নিপীড়ন আইনের ১০ ধারায় জালালিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা আব্দুস শহীদের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।

এ ব্যাপারে মামলার বাদী নির্যাতিতা ওই ছাত্রীর বাবা জানান, মাদরাসা সুপার শহীদের আদালতে আটক হওয়ায় আমরা স্বস্তিতে রয়েছি।

প্রসঙ্গত, কুলাউড়া জালালীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আব্দুস শহীদ কর্তৃক শ্লীলতাহানির শিকার হন মাদরাসার ৬ষ্ঠ, ৭ম, ৮ম ও ৯ম শ্রেণীর ৭ জন ছাত্রী। এ বিষয়ে মাদরাসা সুপারের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে ১৫ জন শিক্ষার্থীর স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ পত্র ৩১ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে প্রেরণ করা হয়।

এছাড়া সুপারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে ১ নভেম্বর মাদরাসার ৯ম শ্রেণীর এক ছাত্রী ও তাঁর পিতা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে পৃথক পৃথক লিখিত অভিযোগ করেন। পরে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্তে কোনো প্রতিকার না পেয়ে ওই ছাত্রীর পিতা অবশেষে ১৯ আগস্ট মাদরাসা সুপার আব্দুস শহিদের বিরুদ্ধে মৌলভীবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ ট্রাইব্যুনাল পিবিআইকে ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। পিবিআই এর তদন্তে ঘটনার সত্যতাসহ সুপার মাও. আব্দুস শহিদের অনিয়ম-দুর্নীতিও ধরা পড়ে।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন