‘ভুল করে’ ভুল লোককে ধরে নিয়ে গেল পুলিশ

  21-01-2020 07:44PM

পিএনএস ডেস্ক : বন বিভাগ মামলা করেছিল করাতকল মালিকের নামে, আর আসামি হিসেবে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে এক চা দোকানিকে—এমন অভিযোগ উঠেছে গাজীপুরের শ্রীপুর থানার পুলিশের বিরুদ্ধে।

গত শুক্রবার শ্রীপুর উপজেলার কেওয়া পশ্চিমখণ্ড গ্রামের চা দোকান থেকে চা দোকানিকে তুলে নেওয়া হয়। পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় থাকা তথ্যের ভিত্তিতেই ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখন মনে হচ্ছে নামের মিল থাকায় গ্রেপ্তারে ভুল হয়েছে।

গ্রেপ্তার হওয়া রফিকুল ইসলাম উপজেলার কেওয়া পশ্চিমখণ্ডের মসজিদ মোড় এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে। তিনি পৌর এলাকার কেওয়া পশ্চিমখণ্ড এলাকায় পাঁচ বছর ধরে চায়ের দোকান চালান। তাঁর জন্ম ১৯৭৭ সালের ২ এপ্রিল। মায়ের নাম জামিনা খাতুন। কিন্তু মূল আসামি কেওয়া পশ্চিমখণ্ড গ্রামের বেগুনবাড়ি এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে রফিকুল ইসলাম। তাঁর জন্ম ১৯৮০ সালের ১৬ জানুয়ারি। তাঁর মায়ের নাম রহিমা খাতুন। তিনি করাতকলের মালিক। তিনি মামলার আসামি হলেও জামিনে আছেন বলে জানান।

জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৮ জুলাই শ্রীপুর সদর বিট অফিসার সহিদুর রহমান উপজেলার কেওয়া পশ্চিমখণ্ডের বেগুনবাড়ি এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে রফিকুল ইসলামকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। সেই পরোয়ানা শ্রীপুর থানায় পৌঁছালে মামলার মূল আসামি করাতকল মালিক রফিকুল ইসলামকে না ধরে চা বিক্রেতা রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার রফিকুলের স্ত্রী শিমু আক্তার বলেন, গত শুক্রবার বেলা তিনটায় দোকানে চা বিক্রি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন তাঁর স্বামী। হঠাৎ শ্রীপুর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কফিল উদ্দিন ও এএসআই তোফায়েল তাঁর চায়ের দোকানে উপস্থিত হয়ে চা পান করেন। একসময় তাঁর নাম ও বাবার নাম জিজ্ঞেস করেন। চা পান শেষে পুলিশের দুই কর্মকর্তা বন বিভাগের মামলা আছে বলে তাঁর স্বামীকে ধরে নিয়ে যান।

গ্রেপ্তার রফিকুলের বড় ভাই নজরুল ইসলাম বলেন, তাঁদের বাড়ির আশপাশে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো বন নেই। অথচ বন বিভাগের মামলায় তাঁর ভাইকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। শুধু নামের মিল থাকায় তাঁর ভাই এমন দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন।

প্রকৃত আসামি রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৫ সালে বন বিভাগের ২০৫ নম্বর মামলায় তিনি আসামি। তবে তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে আছেন।

শ্রীপুর থানার এএসআই কফিল উদ্দিন বলেন, ‘নাম ও বাবার নামে মিল থাকায় আমরা ভুল আসামি গ্রেপ্তার করে ফেলেছি। আমরা আসামি গ্রেপ্তারের সময় সেখানে পরিচয় নিশ্চিত হয়েছি বাবার নাম দেখে। তখন কেউ এ বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি। এখন জানলাম যে ভুল করে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছ। তিনি সহজেই ছাড়া পাবেন।’

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন