রকেট মেম্বার হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার ১১

  23-02-2020 07:27PM

পিএনএস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইলে আলোচিত সাবেক ইউপি সদস্য রকেট হত্যা মামলায় ২২ আসামীর মধ্যে ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে সরাইল থানা পুলিশ।

ঘটনার পর থেকে টানা ১০ দিন পর ফরিদপুর জেলার সদর এলাকায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে। এর আগে ৬ জন আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর “রকেট মেম্বার হত্যাকাণ্ডে” জড়িত ২২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে (১৪ ফেব্রুয়ারি) সরাইল থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার বাদী নিহত রকেট মেম্বারের ছেলে শাহনেওয়াজ রনি।

থানা সুত্রে জানাযায়, সরাইল অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাহাদাত হোসেন টিটো'র পরিকল্পনায় ওসি তদন্ত মোঃ নুরুল হক, এআই গৌতম চন্দ্র দে, এ এস আই আলা উদ্দিন ও এ এস আই বিকাশ সিংহ পুলিশের সঙ্গীয় ফোর্স সহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফরিদপুর জেলার সদর এলাকায় পুলিশের অভিযানে আটক ১১ আসামী হলেনঃ- সরাইল সদরের বেপারিপাড়ার মৃত ধনু বেপারির ছেলে আরমান মিয়া, স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহ আলম মিয়া, আজমান মিয়া, আরমান মিয়ার ছেলে রিয়াদ মিয়া ও হৃদয় মিয়া, আজমান মিয়ার ছেলে ফরহাদ মিয়া ও রাশেদ মিয়া, মৃত রমজান মিয়ার ছেলে আনার মিয়া,নাজু মিয়ার ছেলে ওসমান গনি ওরফে রোপম,আজমান মিয়ার ছেলে জয়,কাছন মিয়ার ছেলে হ্নদয়,এদিকে ঘটনার ৩৬ ঘন্টার পর পুলিশের অভিযানে আটক আসামী হলেন- নান্নু মিয়া, কাচু মিয়া, রিকসন মিয়া, আকরাম মিয়া, আনোয়ার হোসেন ও হামীম মিয়া।

সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাহাদাত হোসেন টিটো পিএনএস-এর প্রতিনিধিকে বলেন, ইতিমধ্যে মামলার এজাহারভুক্ত ১৬ জনও এজাহারের বাইরে একজনসহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছি। আমরা সরাইল বাসীকে আসস্ত করেছিলাম, আমরা এই হত্যাকাণ্ডকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে দেখছি। অভিযুক্ত কেউ রেহাই পাবে না। তিনি আরো বলেন, আপনারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন আইন আইনের গতিতে চলবে। তিনি বলেন, আমরা এর আগে এ ঘটনার সাথে জড়িত ছয়জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে । তাদের মধ্যে একজন এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছে এবং এ হত্যাকাণ্ডের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও পুলিশকে জানিয়েছে। ইনশাআল্লাহ বাকিদের দ্রুত গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলা সদরে প্রাতঃবাজারে আচমকা ১৫ থেকে ২০ জন লোক পর পর দু’টি হাত বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এরপর তারা রকেট মেম্বারের ওপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে তাঁর একটি হাত ও পা প্রায় বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এসময় রকেট মেম্বার বাজারে একটি রেস্টুরেন্টের সামনে দাঁড়ানো ছিলেন।পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে জেলা সদরের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

পিএনএস/মো: শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন