করোনায় স্কুল ছুটিতে গ্রামে গিয়ে হত্যার শিকার

পিএনএস ডেস্ক: করোনার প্রাদুর্ভাব থেকে বাঁচতে দেশময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছুটিতে চট্টগ্রাম থেকে গ্রামের বাড়ি রামু এসে হত্যার শিকার হয়েছে শিক্ষার্থী নুরুল কবির (১৪)। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ করেছেন তার বাবা।

নুরুল কবির রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের হাজারীকুল গ্রামের ছমি উদ্দিনের ছেলে এবং চট্টগ্রামের আশকরদিঘীর পাড় ছালেহ জহুর সিটি করপোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বাবার কর্মস্থল হওয়ায় তারা স্বপরিবারে চট্টগ্রামের দামপাড়া ব্যাটারিগলি এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন। ২ ভাই, ১ বোনের মধ্যে নুরুল কবির সবার বড়।

গত ২২ মার্চ (রোববার) উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের রাবার বাগান হেলিপ্যাড সংলগ্ন স্থানে নুরুল কবিরের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। ওই সময় ছেলেটির পরিচয় না পাওয়ায় ময়নাতদন্ত শেষে অজ্ঞাত হিসেবে তাকে দাফন করে পুলিশ। এ ঘটনার ৩ দিন পর (২৫ মার্চ) ছমি উদ্দিন সংবাদপত্র ও ফেসবুকে ছবি দেখে ছেলেকে শনাক্ত করেন এবং রামু থানা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

নুরুল কবিরের বাবা ছমি উদ্দিন জানান, সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতির কারণে ছেলের স্কুল বন্ধ ঘোষণা হয়। এ সুযোগে গত ১৯ মার্চ ছেলের এক বন্ধু মামার বিয়ের কথা বলে তাকে রামুতে নিয়ে আসে। তবে তিনি আপাতত ছেলের ওই বন্ধুর নাম প্রকাশে অপারগতা জানিয়ে বলেন, সবকিছু রহস্যজনক মনে হচ্ছে। নুরুল কবিরকে হয়তো পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলেও জানান।

রামু থানা পুলিশের ওসি আবুল খায়ের জানান, নুরুল কবিরের মরদেহে মাথার পেছনে, সামনে এবং পায়ে রক্তাক্ত জখম ছিল। এ ঘটনায় ২৪ মার্চ রামু থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। ২২ মার্চ এসআই গণেশের নেতৃত্বে মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়। পরিচয় না পাওয়ায় তাকে অজ্ঞাত হিসেবে দাফন করা হয়েছিল। ২৫ মার্চ ছেলেটির বাবা জানতে পেরে থানায় যোগাযোগ করেন। তিনি আরও জানান, দায়েরকৃত মামলায় এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

পিএনএস/হাফিজ