হামরা খায়া না খায়া আছি, হামার দিকি কেউ দেখেনা!

  06-04-2020 04:48PM

পিএনএস, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার অনেক ক্ষুদ্র চা ব্যবসায়ীরা করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক দোকান-পাট বন্ধ রেখেছে। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী অতি দরিদ্র খেটে-খাওয়া সাধারণ মানুষদের ঘরে ঘরে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়ার কার্যক্রম চলছে। যা চাহিদার চেয়ে অনেক কম।

তথ্য নিয়ে জানা যায়, উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার জন্য গত ৪ এপ্রিল পর্যন্ত দুই দফায় ৪০ মেট্রিক টন চাল, ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের সীচা বাজার ও দক্ষিণ সীচা হাজীর মোড়ে ২৩টি চায়ের দোকান রয়েছে। এর মধ্যে আনিছুর, বকুল ও বাচ্চুকে সরকারিভাবে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সীচা বাজারের চায়ের দোকানদার মুসলিম আলী তার দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। সরকারি সহায়তা পেয়েছেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন,গত ২৬ মার্চ থেকে চা স্টল বন্ধ রয়েছে। এখনো কোন সহায়তা ভাগ্যে জোটেনি। আমার পরিবারে ছেলে- মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ ৮ জনের ভরণপোষণ চলে এই চায়ের দোকান দিয়ে। দোকান বন্ধ থাকায় অতিকষ্টে অনাহারে অর্ধাহারে দিনযাপন করছি। বাজারের শাহআলম, কালাম, হায়দার, হাসিমিয়া, সানজু, শহিদুল, মনিরুজ্জামান, ফুলমিয়া, মর্জিনা বেগম, শাখাওয়াত, হাজীর মোড়ের রুবি বেগম, সদাই দোকানি পরিমল বর্মন, দেবেন্দ্র বর্মন, ভ্যান চালক গনি মন্ডল, হজরত আলী, মাসুদ মিয়াসহ আরো অনেকে বলেন, হামার আয় ওজগার নাই। হামরা খায়া না খায়া আছি। হামার দিকি কেউ দেখেনা। এলাকার অনেকে বলেন সীচা গ্রামের মৃত মজিদ(মজি)'র ছেলে ফজলু ছয় সদস্যের পরিবার নিয়ে কোনো রকমে দিনযাপন করছে। তার ভাগ্যে সরকারি সহায়তা মেলেনি। এছাড়াও পাঁচপীর, বেলকা, ছিলামনি, বরুয়ারহাট, মাঠেরহাট, মীরগঞ্জসহ গাইবান্ধার সাত উপজেলার সকল হাট-বাজার ও গ্রাম-গঞ্জে একই চিত্র দেখা গেছে।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন