ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে গুলি করে স্কুলছাত্রকে হত্যার অভিযোগ

  28-05-2020 03:25AM

পিএনএস ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে প্রতিপক্ষ আব্দুল হকের বাড়িতে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। গুলিতে আইয়ুব নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়। আহত হন অন্তত আরও ২০ জন। বুধবার বিকেলে উপজেলার মেঘনা বেষ্টিত কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের ইজারকান্দি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে কালাপাহাড়িয়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

কালাপাহাড়িয়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. শহীদুল আলম স্কুলছাত্রের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত আইয়ুব ওই এলাকার জালালউদ্দিনের ছেলে। সে কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র এবং ইজারকান্দি আলোর সেতু পাঠাগার দেখাশুনা করতো।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের ইজারকান্দি গ্রামের আব্দুল হকের লোকজনের সঙ্গে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের লোকজনের বিরোধ চলছে। এর আগে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। বুধবার সকালে ইজারকান্দি গ্রামের শাহজাহানসহ বেশ কয়েকজন মিলে আলোর সেতু পাঠাগার এলাকায় জুয়ার আসর জমায়। আইয়ুব বাধা দিলে তাদের সাথে বাক বিতণ্ডার এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এনিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চালান। এরমধ্যে ওই ইউনিয়নের ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন তার দলবল নিয়ে আব্দুল হক মেম্বারের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় পাল্টা আক্রমণ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের সময় গুলিতে স্কুলছাত্র আইয়ুব নিহত হন।

নিহত আইয়ুবের খালাতো ভাই আরিফ বলেন, 'ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন বন্দুক দিয়ে আইয়ুবের মাথায় গুলি করলে সে ঘটনাস্থলেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া পথে মারা যায়।'

স্কুলছাত্র হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন বলেন, বুধবার বিকেলে জালাল ও হক মেম্বারের লোকজন যাতে মারামারি না করে সেজন্যে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। কিন্তু যাওয়ার পর হক মেম্বারের লোকজন মারামারি শুরু করে। এক পর্যায়ে তাদের ছোড়া গুলিতে স্কুলছাত্র আইয়ুব মারা যায়।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, হক মেম্বারের লোকজন তার বাড়িসহ তার পক্ষের লোকজনের দশটি বাড়ি ভাংচুর করে।

আড়াইহাজার থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইজারকান্দি ও এর আশপাশে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পিএনএস/ জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন