সরাইল-নাসিরনগরে ঘূর্ণিঝড়ে বিভিন্ন গ্রাম লণ্ডভণ্ড

  06-06-2020 04:36PM

পিএনএস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা দুইটি উপজেলা দিয়ে বয়ে যাওয়া আকুতি ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে কয়েকটি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম। শনিবার (৬ জুন) সকাল অনুমান সোয়া ৮ ঘটিকার সময় বয়ে চলে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়।

সকালে ঘূর্ণিঝড় চলাকালীন সময়ে নারী পুরুষ আর শিশুদের চিৎকারে ভারী হয়ে উঠে আকাশ বাতাস।এ সময় আকশের দিকে তাকিয়ে দেখা গেছে সমস্ত আকাশে চিলের ও ঘুড়ির মত উড়ছে গাছের ডাল,ঘরের চালের টিন,কাপড় সহ আরো অনেক ভারী জিনিসপত্র।আকাশে বাতাসের সাথে বয়ে চলেছে আগুনের ফুলকি।এ দৃশ্য দেখে মানুষের মাঝে চলে কান্নার রোল। সরাইল উপজেলা তিতাস নদীর তীরে অবস্থিত শাহবাজপুর ইউনিয়ন কুচনী, বুড্ডা নামক স্থানে ঘূর্ণিঝড়ে দুটি গ্রাম লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়,পরে খবর পেয়ে ছুটে যান স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কাজল চৌধুরী সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। পরে উপজেলা পি আইও কর্মকর্তা সালাউদ্দিন আহমেদ ও ছূটেজান ঘটনা স্থলে।

নোয়াগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান কাজল চৌধুরী বলেন, তিনটি গ্রামের প্রায় ৩০টির মতো বাড়ি ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কুচনি এলাকায় ১৪টি, বুড্ডা এলাকায় ১১টি,শান্তিনগর এলাকায়৫টি বাড়িঘর উপরে দিয়ে যায় ঘূর্ণিঝড়। অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করা হচ্ছে। সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এস এম মুসা জানান নোয়াগাঁও ইউনিয়নের কুচনী বুড্ডা দুইটি গ্রামের কাঁচা পাকা ঘর ও গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি ধারণা করা হচ্ছে কমপক্ষে ৩৫থেকে ৪০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নাসিরনগর উপজেলা ও সরাইলের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা ত্রাণ প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান নাসিরনগর ও সরাইলের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের জন্য ত্রাণ ও পূর্নবাসন জন্য আমাদের জেলা উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে তাৎক্ষণিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করছি।এদিকে নাসিরনগর ডাকবাংলোর তিতাস নদীতে ভেঙ্গে ফেলেছে অনেক নৌকা।ভেঙ্গে ফেলেছে বিল্ডিং ঘরের চাল,অনেক বড় বড় গাছপালা, মন্দির,ঘর দরজা,কামার। ঘুর্নিঝড়ের কবলে পড়ে আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন মানুষ।ঘুর্নিঝড়ের কবলে পড়ে আহত হওয়া আশুরাইল গ্রামের পোষ্ট অফিস কর্মচারী সোহেল আহমেদ কে ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।আশুরাইল গ্রামের রাজা বাড়ির লিটনের ছেলে মহরম আলী (৮) নাসিরনগর হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়েছে।

খোজঁ নিয়ে জানা গেছে ঘুর্নিঝড়ে সবচেয়ে বেশী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে নাসিরনগর সদর ইউনিয়ের পশ্চিমপাড়া,বুড়িশ্বর ইউনিয়নের আশুরাইল, বেণীপাড়া,ইছাপুর,শ্রীঘর,পূবর্ভাগ ইউনিয়নের শ্যামপুর,গোর্কন ইউনিয়নের চৈয়ারকুড়ি ফান্দাউক ইউনিয়নের আতুকোড়া,গোয়াল নগর ইউনিয়নের রামপুর সহ আরো অনেক এলাকাএ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘুর্নিঝড়ের সঠিক পরিসংখ্যান বের করতে পারেনি উপজেলা প্রশাসন।

পিএনএস/মো. শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন