মুন্সীগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

  04-07-2020 06:06PM

পিএনএস ডেস্ক : মুন্সীগঞ্জে পদ্মার পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১১ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। এই পয়েন্টে পদ্মার বিপৎসীমার লেভেল ৬.৩০ মিটার। শুক্রবার এখানে পদ্মার পানির লেভেল ছিল ৬.৪৮ মিটার। এতে পদ্মা অববাহিকার নিম্নাঞ্চলের জনপদগুলো প্লাবিত হয়েছে। চরাঞ্চলের বহু এলাকা জলমগ্ন হয়েছে। দ্রুত পানি আসার কারণে আমন ধানসহ বহু ফসলের ক্ষতি হয়েছে। টঙ্গীবাড়ি উপজেলার দিঘিরপারে কান্দারবাড়ি-শরিষাবন বাঁধ ভেঙে প্রায় ১০০ একর জমিতে পানি প্রবেশ করেছে।

লৌহজংয়ের মেদিনী মন্ডল ইউনিয়নের কান্দিপাড়া যশলদিয়া, কুমারভোগ, কনকসার, হলদিয়া, লৌহজং-টেউটিয়া ওগাওদিয়া ইউনিয়নের চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অনেকর বাড়ির উঠানে পানি উঠে জলমগ্ন হয়েছে। তলিয়ে গেছে বিস্তির্ণ ফসলি জমি। যাওয়া বিসোটের কাছে রাস্তা পেরিয়ে পদ্মার পানি প্রবেশ করেছে।

লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কাবিরুল ইসলাম খান জানিয়েছেন, মেদিনী মন্ডলের ওই এলাকায় একটি বাঁধের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে আলাপ হয়েছে। এখানে একটি বাঁধ দেওয়ার চেষ্টা চলছে। হলদিয়া ও খড়িয়ার ইতিমধ্যে বাঁধ দেওয়া হয়েছে। চরের মানুষের জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে খাদ্য সামগ্রীর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, পদ্মার পানিতে স্রোতেও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। তাই শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

পদ্মাতীরে হাসাইল-বানারী, কামারখারা, দিঘিরপাড়, পাঁচগাঁও, সদর উপজেলার শিলই, বাংলাবাজার, আধারা লৌহজং উপজেলার কলমা, লৌহজং-তেউটিয়া, গাঁওদিয়া, হলদিয়া, কনকসার, কুমারভোগ ও মেদিনীমন্ডল এবং শ্রীনগর উপজেলা বাঘরা ও ভাগ্যকূল ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়াও টঙ্গীবাড়ি উপজেলার কান্দারবাড়ি-শরিষাবন বাঁধের একাংশ বিলীন হয়েগেছে।

জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেন, বানভাসি মানুষের পাশে সরকার রয়েছে। জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসন এই বিষয়ে সর্বোচ্চ সর্তকতায় আছে। জরুরি প্রয়োজনে সহায়তা প্রদানের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। তিনি জানান, লৌহজংয়ের চরাঞ্চলের এলাকাগুলো প্লালিত হয়েছে। সেখানকার পদ্মা তীরবর্তী বাঁধগুলোও ঝুঁকিপূর্ণ। ইতোমধ্যেই বেশী ক্ষতিগ্রস্ত লৌহজং উপজেলায় এই বাবদ ২০ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও শুকনো খাবারের জন্য ৩০ হাজার টাকাও দেয়া হয়েছে।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন