নারায়ণগঞ্জে স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যাচেষ্টা

  09-07-2020 01:29AM

পিএনএস ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী ও ছেলেকে ছুরিকাঘাতের পর নিজের পেটে ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে হারেজ মিয়া নামে এক ব্যক্তি।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালে নেওয়ার পথে ছেলে সোহাগ (১৫) এবং বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেলে স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৪৫) মারা যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা থানার ওসি আসলাম হোসেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ময়মনসিংহের ত্রিশালের রিকশাচালক হারেজ মিয়া পরিবার নিয়ে ফতুল্লার পশ্চিম ভোলাইল শাহ আলমের টিনের ঘরে ভাড়া থাকেন। তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম স্থানীয় একটি মিনি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। এছাড়া ছেলে সোহাগ স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। মেয়ে বিথী আক্তার (১২) ভোলাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী। পারিবারিক কলহের জের ধরে মাদকাসক্ত রিক্সাচালক হারেজ মঙ্গলবার রাত দুইটায় এ ঘটনা ঘটায়। ঘাতক হারেজ ঢাকা মেডিকেলে পুলিশ প্রহরায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, হারেস তার স্ত্রীকে পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ করতেন। এ নিয়ে প্রায় সময় তাদের সংসারে ঝগড়া হতো। মঙ্গলবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে রাত ২টার দিকে হারেস মিয়ার হাতে থাকা ধারালো ছোরা দিয়ে তার স্ত্রীকে আঘাত করেন। পরে মাকে বাঁচাতে যায় ছেলে সোহাগ। তখন হারেস তার ছেলে সোহাগকেও ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত জখম করেন। পরে হারেজ নিজের পেটে নিজেই ছুরিকাঘাত করেন। এ সময় আরেক ঘরে থাকা মেয়ে বিথী ঘুম থেকে উঠে এসব দেখে চিৎকার করলে লোকজন এসে সোহাগসহ হারেস ও মনোয়ারা বেগমকে নারায়ণগঞ্জ শহরের জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সোহাগকে মৃত ঘোষণা করেন এবং স্বামী-স্ত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সোহাগের লাশ উদ্ধার করে ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।

তিনি আরও বলেন, রিক্সাচালক হারেজ বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার অবস্থাও আশংকাজনক। সেখানে তাকে রাখা হয়েছে পুলিশ প্রহরায়। হারেজের উপুর্যপরী ছুরিকাঘাতে মা ও ছেলে মারা যায়। পরে সে নিজের পেটেও ছুরিকাঘাত করে।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন