নারায়ণগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

  07-08-2020 05:00PM

পিএনএস ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্য ও বুড়িগঙ্গা নদীর পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। প্লাবিত হয়েছে নদী পাড়ের এলাকাগুলো। শুক্রবারও ফতুল্লায় নতুন নতুন গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। দুভোর্গে পড়েছে হাজারও মানুষ। বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকেই বাড়তে থাকা শীতলক্ষ্যার পানি আরও বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে ধলেশ্বরী নদীর পানিও। এতে সদর উপজেলার চারটি ইউনিয়নের (কাশীপুর, এনায়েতনগর, বক্তাবলী, আলীরটেক) সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

শুক্রবার সরেজমিনে, পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শীতলক্ষ্যা নদী তীরবর্তী নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের সেন্ট্রাল খেয়াঘাট সংলগ্ন বন্দর বাজারটিতে পানি প্রবেশ করেছে, ডুবেছে দোকানপাট এবং নদী পারাপারের জেটি। পানি মাড়িয়ে চলাচল করছে মানুষজন। এদিকে বুড়িগঙ্গা ও ধলেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সদর উপজেলার চারটি ইউনিয়নের সহস্রাধিক ঘরবাড়ি পানির নিচে ডুবে গেছে। এতে কয়েক হাজার মানুষ পানি বন্দি অবস্থায় জীবন যাপন করছে।

সদর উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়নের ১ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব গোপালনগর, প্রতাপনগরের দুইশ পরিবার, কাশীপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ঘনবসতিপূর্ণ উত্তর নরসিংপুরের আড়াইশ পরিবার, আলীরটেক ইউনিয়নের ১ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের অর্ধশতাধিক পরিবার, এনায়েতনগর ইউনিয়নের ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ধর্মগঞ্জসহ কয়েকটি এলাকার সাড়ে চারশ পরিবার পানিবন্দি। বুড়িগঙ্গা ও ধলেশ্বরীর পানি অস্বাভাবিক মাত্রায় বেড়ে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। গত বুধবার রাত ৮টার পর থেকে নদীর পানি অত্যাধিক মাত্রায় বাড়া শুরু করেছে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। প্লাবিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সেলিম রেজা, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক।

ইউএনও নাহিদা বারিক বলেন, পানিবন্দি পরিবারের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। ভুক্তভোগীদের সরকারি সহযোগিতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। ইতিমধ্যে বরাদ্দ এসেছে বলেও জানান তিনি। স্থানীয় সরকারি স্কুলগুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকাগুলো পরিদর্শন করে কিছু ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

পিএনএস/এসআইআর


@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন