পিএনএস ডেস্ক : বাৎসায়ন যে সময় কামসূত্রের রচণা করেছিলেন, সে সময় সম্বন্ধ করে বিয়ে দেওয়ার রীতি ছিল৷ ছিল না কোনও ফেসবুক, হোয়াটস্ অ্যাপ বা ফোন, যার সাহায্যে সোহাগ মাখানো কন্ঠে ওপার থেকে কেউ বলে উঠবে, ‘কি করছো সোনা’? অবস্থা এমনই ছিল যে, ফুলশয্যার রাতেই বর-বৌ উভয় উভয়কে আবিষ্কার করার সুযোগ পেতেন৷
আর এই নিয়েই বাৎসায়ন অনেক কথা বলে গিয়েছেন৷ কামসূত্রের আসল চাহিদা তাঁরা বুঝবেন, যাঁরা একটু কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন! কিছু কথা আপনিও এই সুযোগে জেনে নিতে পারেন…
১) বিয়ের পর প্রথম তিন দিন স্বামী-স্ত্রী বিছানাতে না শুয়ে মাটিতে শোবে৷ আরাম এবং যৌন চাহিদা থেকে এই সময় দূরে থাকতেই হবে৷
২) তিনদিন পর্যন্ত নুন ছাড়া খাবার খেতে হবে৷
৩) আগামী সাত দিন স্বামী-স্ত্রী নিজেদেরকে আগে বোঝার চেষ্টা করবে৷ আর এর জন্য তাঁরা কসঙ্গে খাবার খেতে পারে, গান শুনতে পারে, অথবা বিয়েতে আমন্ত্রিত অতিথিদের বাড়ি গিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বার্তা বলতে পারে৷ এতে একে অপরের একটু কাছে আসতে পারবে তাঁরা৷
৪) দশম রাতে স্বামী তার স্ত্রীয়ের দিকে এগোনোর চেষ্টা করতে পারে৷ বাৎসায়নের মতে, স্ত্রী জাতি একটু নরম স্বভাবের হয়, এবং যৌনক্রিয়ার হঠকারিতায় তারা বেশ ভয় পায়৷ তাই তাড়াহুড়ো নয়, ধীরে ধীরে তাকে কাছে টানার চেষ্টা করতে হবে৷
৫) পরের ধাপই হল-পান৷ না সুরা পান নয়৷ এ হল খাওয়ার পান৷ যা যৌন সম্মতির প্রতীক বলে মনে করা হয় অনেক ক্ষেত্রে৷ এক্ষেত্রে স্ত্রী পান খেলে, তাঁর রাজি হওয়ার বার্তা উঠে আসে, আর না খেলে, তাঁর বিপরীত বার্তা৷ তবে নেতিবাচক কিছু হলে, স্বামী স্ত্রীয়ের কাছে বারবার অনুরোধ জানাতে পারে, সম্মতি আদায়ের জন্য, কিন্তু কখনোই জোর করবে না৷
৬) জোর নয়, আলিঙ্গন এবং চুম্বনের দ্বারা সঙ্গিনীকে রাজি করানোই একমাত্র সঠিক পথ৷
বাৎসায়নের মতে, যে স্বামী তার স্ত্রীয়ের অনুগত, যে তার স্ত্রীয়ের যত্ন নেয়, সেই স্ত্রীও স্বামীর সঙ্গে মানসিক এবং শারীরিকভাবে ততোটাই জড়িয়ে পড়ে অবলীলায়৷ অন্যথায়, গায়ের জোরে যারা পৌরুষ্যত্ব প্রমাণ করার চেষ্টা করে, তাঁর সঙ্গিনীর কাছে সে হিংস্র পশুর মতো সম্মানই পেয়ে থাকে৷
পিএনএস/জে এ
‘প্রথম রাত’? কি বলেছেন.....!
08-06-2018 07:32PM