সম্পর্কে না জড়ালে অল্প বয়সীরা কম হতাশায় ভোগে!

পিএনএস ডেস্ক :দশকের পর দশকের গবেষণায় জানানো হয়েছে, রোমান্টিক সম্পর্ক কিশোর-কিশোরীদের প্রাপ্ত বয়স্ক হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করে। কিন্তু বর্তামানে এ হিসেব পাল্টে গেছে। সম্প্রতি জার্নাল অব স্কুল হেলথ নামের একটি গবেষণাপত্রে এ সংক্রান্ত একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়, যে কিশোর-কিশোরীরা সম্পর্কে জড়ায় এবং যারা সম্পর্কে জড়ায় না তাদের মধ্যে একটি বিশাল পার্থক্য দেখা যায়। যারা সম্পর্কে জড়ায় না তারা অন্যদের তুলনায় সামাজিক এবং নেতৃত্বের দক্ষতায় অনেক দূর এগিয়ে যায়। গবেষণায় আরো বলা হয়, সম্পর্কে না জড়ানো কিশোর-কিশোরীরা অন্যদের তুলনায় কম হতাশায় থাকে।

পামেলা অর্পিনাসের সঙ্গে গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন ব্রুক ডগলাস। তিনি জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক। তিনি বলেন, আমরা জানি কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে রোমান্টিক সম্পর্কের বিষয়টি খুব স্বাভাবিক। আসলে, বেশিরভাগ মানুষ ১৫ থেকে ১৭ বছর বয়সের মধ্যেই রোমান্টিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।

ব্রুক ডগলাস বলেন, কিশোর-কিশোরীদের স্বতন্ত্র বিকাশ এবং সুস্থতার জন্য রোমান্টিক সম্পর্কগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তখন আমাদের বলা হয় যে, তাহলে যারা সম্পর্কে জাড়ায় তারা কী সামাজিকভাবে পরিপূর্ণ নয়? তারপর গবেষণায় পাওয়া যায় এই তথ্য।

গবেষণায় ব্রুক ডগলাস কম ডেটিং করা কিশোর-কিশোরীদের সঙ্গে বেশি ডেটিং করা কিশোর-কিশোরীদের তুলনা করেন। সেখানে দেখা যায়, যারা কম ডেটিং করেন বা রোমান্টিক সম্পর্কের অভাবে তাদের বেড়ে উঠায় কোনো বাধা তৈরি হয় না। এছাড়াও যারা ডেটিং করে না তারা নেতৃত্বের দক্ষতায় অনেক এগিয়ে থাকে। তাছাড়া সামিজকভাবে তারা একটি সুন্দর জীবন নির্বাহ করে। যারা কম ডেটিং করেন বা ডেটিং করেন না তাদের মধ্যে হতাশাও কম দেখা যায়।

ব্রুক ডগলাস বলেন, যে শিক্ষার্থীরা ডেটিং করছেন না বা সম্পর্ক গড়ে তুলেননি; তারা অনেক ভালো করছেন। তাদের সামাজিক কর্মদক্ষতা অভাব নেই। অন্যান্যদের মতো তাদেরও বন্ধু আছে। তিনি বলেন, মানুষকে ডেটিং না করতে বা সম্পর্কে না জড়াতে এই গবেষণা পরামর্শ দিচ্ছে না। কিশোর-কিশোরীরা কোনো সম্পর্কে জাড়াবে না নাকি জাড়াবে তা তাদের নিজেদের পছন্দ।

সূত্র: সিএনএন।

পিএনএস/জে এ