ইমাম ভুল করলে মুসল্লিদের করণীয়

  23-09-2024 12:00AM

পিএনএস ডেস্ক: মসজিদের ইমাম সাহেব জামাতে নামাজ পড়াতে গিয়ে মাঝে মাঝে ভুল করে থাকেন। যেমন- চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজে দ্বিতীয় রাকাতে না বসে দাঁড়িয়ে যাওয়া বা চার রাকাত শেষ হওয়ার পরও দাঁড়িয়ে যাওয়া ইত্যাদি।

ইমাম সাহেব এমন ভুল করলে করণীয়: নামাজ পড়াতে গিয়ে যদি ইমাম কোনো ভুল করে ফেলেন তাহলে মুক্তাদি জোরে ‘সুবহানাল্লাহ’ বলে ভুল ধরিয়ে দিতে দেবেন। মুক্তাদি হলো যিনি ইমামের পেছনে নামাজ পড়ছেন।

সাহল ইবনে সাদ (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, একদিন আল্লাহর রাসুল (সা.) আমর ইবনে আওফ গোত্রের একটি বিবাদ মিটিয়ে দেওয়ার জন্য সেখানে যান। রাসুলের (সা.) অনুপস্থিতিতে আসরের নামাজের সময় হয়ে গেলে, মুয়াজ্জিন আবু বকরকে (রা.) নামাজ পড়াতে অনুরোধ করলেন। আবু বকর (রা.) নামাজ পড়ানো শুরু করার পর নবিজি উপস্থিত হয়ে নামাজে শরিক হলে সাহাবিরা হাতের ওপর হাত মেরে আওয়াজ করে তাকে সতর্ক করার চেষ্টা করলেন যেন তিনি নবিজিকে ইমামের দায়িত্ব দিয়ে পিছিয়ে আসেন। নামাজ শেষে নবিজি (সা.) বললেন,

আমি তোমাদের হাতে আওয়াজ করতে দেখলাম। কারণ কী? নামাজে কোনো সমস্যা দেখা দিলে ‘সুবহানাল্লাহ’ বলবে। সুবহানাল্লাহ বললে তার প্রতি দৃষ্টি দেওয়া হবে। হাতে আওয়াজ করা তো নারীদের জন্য। (সহিহ বুখারি: ১২০১)

সুতরাং হাদিসটি থেকে বোঝা যায় যে, নামাজের মধ্যে কোনো সমস্যা দেখা দিলে পুরুষদের উচিত হলো ‘সুবহানাল্লাহ’ বলে ইমামকে সতর্ক করা। তবে নারীরা যদি জামাতে উপস্থিত থাকেন এবং ইমামের কোনো ভুল ধরিয়ে দিতে চান, তাহলে তারা ‘সুবহানাল্লাহ’ না বলে বাম হাতের পিঠে ডান হাত মেরে আওয়াজ করে ইমামকে সতর্ক করবেন।

সাধারণত আমাদের দেশে ইমামের ভুল হলে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে ইমামকে সতর্ক করা বা ভুল ধরিয়ে দেওয়ার প্রচলন রয়েছেন। ‘আল্লাহু আকবার’ বললেও নামাজের সমস্যা হবে না। তবে সুন্নত হলো ‘সুবহানাল্লাহ’ বলা।

একটি বর্ণনায় এসেছে, রাসুল (সা.) একদিন চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজে দ্বিতীয় রাকাতে না বসে দাঁড়িয়ে যান। তখন সাহাবায়ে কেরাম ‘সুবহানাল্লাহ’ বলে ভুল ধরিয়ে দেন। (সুনান নাসাঈ: ১১৭৮)

পিএনএস/রাশেদুল আলম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন