সংস্কার না হলে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের চ্যালেঞ্জ দেখছে সিপিডি

  29-01-2025 02:59PM


পিএনএস ডেস্ক: বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ মনে করে, রাজনৈতিক সংস্কার ভালোভাবে করা না হলে অর্থনৈতিক সংস্কার কাজ করবে না। এছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের পর বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসলেও অর্থনৈতিক অবস্থা তেমন ভালো নয়। বুধবার ‘বাংলাদেশ অর্থনীতি ২০২৪-২৫: সংকটময় সময়ে প্রত্যাশা’ পূরণের চ্যালেঞ্জ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এসব তথ্য তুলে ধরেন।

সিপিডি বলছে, বর্তমানে রাজস্ব আহরণের প্রবৃদ্ধি ৩.৭ শতাংশ যা পূর্বের সরকারের সময় থেকে অনেক অনেক কম। তাদের কথা অনুযায়ী রিজার্ভের অবস্থা তেমন সন্তোষজনক নয় এবং বিদেশি বিনিয়োগের প্রকল্প বাস্তবায়ন যেন অব্যাহত থাকে সে বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া দরকার।

অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিপিডি বলছে, বিদেশি ঋণের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। অভ্যন্তরীণ উৎসে নির্ভরতা বাড়ছে, যা আগামীতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এক্ষেত্রে বেশ কিছু আইন সংস্কারের দরকার রয়েছে বলে মনে করে সিপিডি। তারা আরও বলছে যে, ব্যালেন্স অফ পেমেন্ট এর ক্ষেত্রে ইতিবাচক গতি রয়েছে। পশ্চিমা বিশ্বে আমাদের পোষাক রপ্তানি অব্যাহত রয়েছে বলে অর্থনীতি একেবারে ডুবে যায়নি। শেষ কয়েক বছরে প্রায় ৪০ লাখ শ্রমজীবী মানুষ বিদেশ গিয়েছে কাজের সন্ধানে। এই ৪০ লাখ শ্রমজীবী মানুষের একটা বড় অংশ থাকে মধ্যপ্রাচ্যে। তবে রেমিটেন্সে সেটার ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে না।

ব্যাংক খাত নিয়ে ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় নেয়া ব্যাংকের লাইসেন্স বন্ধ করতে হবে। একই ব্যক্তি যাতে একাধিক ব্যাংকের মালিক হতে না পারেন সেটা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি লাইফ সাপোর্টে থাকা ব্যাংকগুলোকে বন্ধ করে দিতে হবে। ব্যাংকিং খাত দুর্বল হওয়ার পেছনে যেসব গভর্নর দায়ী তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ব্যাংকিং খাতে সুশাসনের অভাব রয়েছে। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে দুর্বল হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দুর্বল ব্যাংকগুলোকে শক্তিশালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করে ব্যাংক খাতের অবস্থার উন্নতি করা যেতে পারে।

সরকারি ব্যাংকে খেলাপি ঋণ সবচেয়ে বেশি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা।

এদিকে, সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে করা এলএনজি সরবরাহের চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে গ্যাসের অভ্যন্তরীণ অনুসন্ধান আরও দুর্বল হবে বলেও জানিয়েছে সিপিডি।

এছাড়া পূর্ববর্তী সরকারের নীতিকাঠামোর জন্য বাংলাদেশের জ্বালানি খাত মারাত্মক আর্থিক সংকটে রয়েছে উল্লেখ করে সংস্থাটি জানায়, ঋণের বোঝা কমাতে অতিরিক্ত ব্যয়ে বিদ্যুৎ না কিনে সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিশেষ করে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বাড়াতে হবে। আদানিসহ সব বিদ্যুৎকেন্দ্র বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি পেমেন্ট বাতিল করে ‘নো ইলেক্ট্রিসিটি নো পে’ নীতি চালু করতে হবে।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন