পিএনএস ডেস্ক: ক্রিকেটার হিসেবেই তাঁদের পরিচয়। বিপিএলে রংপুর রাইডার্সে খেলা সৌম্য সরকার, নাহিদ রানাদের আয়-রোজগার, জীবনযাপন—সবকিছুই ক্রিকেটকেন্দ্রিক। আপাতত হয়তো তাঁদের নতুন পরিচয়ে পরিচিত হওয়ার সুযোগ নেই।
তবে ভাবতে দোষের কী? সৌম্য-নাহিদরা ক্রিকেটার না হলে হতেন কী? সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিসিবি প্রকাশিত এক ভিডিওতে এই প্রশ্নের উত্তরই খোঁজা হয়েছে।
এমন প্রশ্নের উত্তর কে দিতে পারেন? হয় ওই ব্যক্তি নিজে, অথবা তাঁকে ভালো করে চেনেন এমন কেউ। রংপুরের ক্রিকেটারদের সবচেয়ে ভালো চেনার কথা দলের অধিনায়ক নুরুল হাসানেরই। ভিডিওতে তিনিই বলেছেন, ক্রিকেটার না হলে তাঁর দলের ক্রিকেটাররা কী হতে পারতেন!
সম্প্রতি রংপুরে গিয়ে ‘দুষ্টু কোকিল’ গানে নেচেছিলেন স্পিনার মেহেদী হাসান। নুরুল অবশ্য বলছেন মেহেদী কখনোই ড্যান্সার হতে পারতেন না। তিনি বরং হতে পারতেন এলাকার নেতা। এভাবেই অনেক ক্রিকেটার সম্পর্কে কথা বলেছেন নুরুল।
নুরুল সৌম্য ও সাইফউদ্দিনের মধ্যে কী দেখেছেন, কে জানে! ক্রিকেটার না হলে এই দুজন নাকি হতেন ব্যবসায়ী। সাইফ হাসানকে বেশ ভদ্র ছেলে বলেই মানেন নুরুল। সাইফ নাকি চাকরি পেতেন ভালো কোনো কোম্পানিতে। অফিস করতেন সকাল–সন্ধ্যা।
পেসার রেজাউর রহমান নাকি ক্রিকেটার না হলে দেশের বড় আলেম হতেন। হতেও পারতেন! তাঁর বাবা মসজিদের মোয়াজ্জিন। এই মুহূর্তে দেশের ক্রিকেটের ‘পোস্টার বয়’ নাহিদ রানা। গতি দিয়ে সবাইকে মুগ্ধ করেছেন এই পেসার। ক্রিকেটের বাইরে নাহিদকে বিধ্বংসী কিছু মনে করেন না নুরুল। নাহিদ রানা নাকি হতেন ভালো ছাত্র বা করতেন ভালো চাকরি।
ইরফান শুক্কুরকে একটু ভিন্ন চোখেই দেখেন নুরুল। নইলে কী আর ‘প্লে-বয়’ তকমা দেন! বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল ইসলাম জুনিয়র বোধ হয় সবাইকে হাসাতেই ভালোবাসেন। তাঁর বিষয়ে জানতে চাওয়ার পর তাই নুরুল ভাবনা–চিন্তাই করলেন না। এক কথায় বলে দিলেন—কমেডিয়ান।
পাকিস্তানের ক্রিকেটে মোহাম্মদ হাফিজকে ‘প্রফেসর’ বলে ডাকা হয়। নুরুল প্রফেসর তকমা দিলেন হাফিজের সতীর্থ ইফতিখার আহমেদকে। ইফতিখার এমনিতে পাকিস্তান ক্রিকেটে ‘চাচা’ হিসেবে পরিচিত।
সবাইকে নতুন নতুন পরিচয় দিচ্ছেন যিনি, সেই নুরুল নিজে কী করতেন? খেলার মানুষ নুরুল খেলাতেই থাকতেন। ক্রিকেটার না হলে হতেন ফুটবলার।
এসএস
‘দুষ্টু কোকিল’ মেহেদী নেতা, সৌম্য-সাইফউদ্দিন ব্যবসায়ী—ক্রিকেটার না হলে কে কী হতেন
29-01-2025 07:28PM