শীতের বাজারে কাঁচা আম বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকায়

  19-01-2025 11:17PM

পিএনএস ডেস্ক: সাধারণত গ্রীষ্মের শুরুতে বাজারে দেখা মেলে কাঁচা আমের। তবে কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার বিভিন্ন হাটবাজারে মাঘের শীতেই মিলছে কাঁচা আম। অসময়ের এসব আমের দাম অনেক চড়া। এরপরও শখের বশে অনেকেই এসব আম কেনায় বেচাবিক্রি ভালো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় টেকনাফ পৌরসভার বাসস্টেশন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, দুই বিক্রেতা ফুটপাতে কাঁচা আম সাজিয়ে রেখেছেন। কনকনে শীতের মধ্যে গ্রীষ্মের এই ফল দেখতে পেয়ে তাঁদের ঘিরে ধরতে দেখা যায় স্থানীয় বাসিন্দাদের। কেউ দরদাম করে তাঁর কাছ থেকে কাঁচা আম কিনে নিচ্ছেন। প্রতি কেজিতে ছয় থেকে সাতটি আম ধরছে।

আম বিক্রেতা নুরুল হোসাইন ও মোহাম্মদ কাছিম প্রথম আলোকে বলেন, এক বাগানির কাছ থেকে প্রতি কেজি ৪০০ টাকা দরে ২৫ কেজি আম কিনেছেন তাঁরা। বিক্রি করছেন ৫৫০ টাকা কেজি দরে। বেশির ভাগ আম আকারে বড়। কিছু ছোট আকারের আমও রয়েছে।

যে বাগানমালিকের কাছ থেকে নুরুল হোসাইন ও মোহাম্মদ কাছিম আম কিনেছেন তাঁর নাম সাব্বির আহমদ। তিনি টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মিঠাপানির ছড়া গ্রামের বাসিন্দা। যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এলাকায় অধিকাংশ গাছে এখনো মুকুল আসেনি। তবে তাঁর বাড়ির আঙিনায় লাগানো তিনটি গাছে কাঁচা আম পাওয়া যাচ্ছে। গাছে প্রচুর ফলন হয়েছে। এসব আম বিক্রি করে তিনি ভালোই দাম পাচ্ছেন।

ফরিদ আহমদ নামে টেকনাফের এক ফল ব্যবসায়ী প্রথম আলোকে বলেন, দেশের অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে প্রতিবছর অসময়ের এসব কাঁচা আম কিনে নেওয়া হতো। তবে পরিবহন খরচ বাড়ার অজুহাতে এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা আম কিনছেন না। তাঁরা আম কিনলে দাম আরও বেশি পাওয়া যেত।

কৃষি কর্মকর্তা ও আমচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার শাহপরীর দ্বীপ, সাবরাং নোয়াপাড়া, টেকনাফের হাবির ছড়া, মিঠাপানির ছড়া, নোয়াখালী, বাঘঘোনা, বড়ডেইল, শিলখালী, শামলাপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় জাতের এই আগাম আমের গাছ রয়েছে। কৃষি কর্মকর্তাদের ধারণা, আবহাওয়াগত কারণে টেকনাফে আগাম আম মিলছে। কারণ, এর আগে বিভিন্ন সময় এসব গাছ থেকে কলম বাঁধার উপযোগী কচি ডগা সংগ্রহ করে দেশের অন্য স্থানে লাগানো হয়েছে। তবে সে ক্ষেত্রে আগাম ফলন হয়নি।

টেকনাফ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাকিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আবহাওয়াগত কারণে টেকনাফে আগাম ফলন হচ্ছে। মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডেও এ সময়টাতে ফলন আসে। বাণিজ্যিকভাবে এলাকায় এসব আমের চাষাবাদ বাড়ানো গেলে চাষিরা লাভবান হবেন।

এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন