মিষ্টি কুমড়ায় স্বপ্ন বুনছেন আখাউড়ার কৃষক

  22-12-2023 10:58AM



পিএনএস ডেস্ক: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার পৌরশহরের দেবগ্রামের চন্দনসার এলাকার শেখ বোরহান উদ্দিন নামে এক কৃষক ৬ বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়া আবাদ করে সাড়া ফেলেছেন। আবাদ বেশ ভালো হওয়ায় মিষ্টি কুমড়ায় স্বপ্ন বুনছেন তিনি। এ মৌসুমে তার সাড়ে ৪ লাখ টাকার উপর মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হবে আশা করছেন।

এদিকে, কম শ্রমে বেশি লাভ হওয়ায় এ উপজেলায় অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে এ চাষে ঝুঁকছেন। ফলে দিনদিন মিষ্টি কুমড়ার চাষ বাড়ছে।

শেখ বোরহান উদ্দিন এবার ৬ বিঘা জমিতে কোনো প্রকার রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার না করে শুধু জৈব সার প্রয়োগে মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছেন। এরইমধ্যে আবাদকৃত মিষ্টি কুমড়া পরিপক্ক হতে শুরু করেছে। কয়েকদিনের মধ্যে স্থানীয় বাজারে তার মিষ্টি কুমড়া বিক্রি শুরু হবে। তিনি আশা করছেন, আবহাওয়া অনুকূল ও বিক্রিতে দর ভালো পাওয়া গেলে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে এ মৌসুমে সাড়ে ৪ লাখ টাকার উপর মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হবে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় প্রায় ৪৫০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন নানা প্রজাতির সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এখানকার মাটি সবজি চাষের জন্য খুবই উপযোগী। সবজি চাষ কম শ্রমে বেশি লাভ কৃষকরা নানা প্রকারের সবজি আবাদ করে লাভবান হচ্ছেন। বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব সরকার হওয়ায় কৃষকদের মাঝে মানসম্পন্ন বীজ ও সারসহ অন্যান্য উপকরণ দিয়েছে।

চন্দনসার এলাকায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, রেললাইনের পাশে বিশাল এলাকাজুড়ে রয়েছে মিষ্টি কুমড়ার বাগান। পাশাপাশি রয়েছে পেঁপে, বরবটি, লালশাকসহ নানা প্রজাতির সবজি। চারদিকে যেন সবুজের চাদর বিছিয়ে রাখা হয়েছে। মিষ্টি কুমড়া গাছের প্রতিটি ডগায় হলুদ ফুলের সম্ভার। মাটিতে বড় হচ্ছে শত শত মিষ্টি কুমড়া। হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল ও কীটপতঙ্গ থেকে রক্ষা পেতে বাগানের চারপাশে দেওয়া হয়েছে নেট জালের বেড়া। চলছে নিয়মিত সবজি বাগানের পরিচর্যা।

কৃষি কর্মকর্তারা জানান, পুষ্টিগুণে ভরপুর সবজির মধ্যে অন্যতম হলো মিষ্টি কুমড়া। এতে প্রচুর পরিমাণ রয়েছে ভিটামিন এ, বিটা-ক্যারোটিন। পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিংক, ফসফরাস। এই সবজিটি আমাদের দেহের ক্যান্সার, রেডিকাল ড্যামেজ প্রতিরোধ করে, ওজন কমাতে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে।

শেখ বোরহান উদ্দিন বলেন, ৬ বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়া আবাদ রয়েছে। তাছাড়া বেগুনচারা প্রায় সাড়ে ৩ হাজার, পেঁপে চারা ১২০টি, কাঁঠাল চারা ৪০টি রোপণ করেছি। এছাড়াও ঢেঁড়শ ও লালশাক চাষ করা হয়েছে। দিনের বেশিরভাগ সময় পার করছি সবজি চাষকে ঘিরে। আমারে বাগানে নিয়মিত আটজন শ্রমিক কাজ করছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া তাবাসসুম বলেন, এ উপজেলায় কৃষি অফিসের তৎপরতায় সবজি চাষে বেশ ভালো সফলতা পেয়েছেন কৃষকরা। কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে সবজির আবাদ। শিক্ষিত যুবকরা সবজি চাষে এগিয়ে এলে দেশের বেকারত্ব দূর হবে।


পিএনএস/এমএইউ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন