পিএনএস ডেস্ক: কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অস্থিরতার পরদিন অফিসে আসেননি গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, চার ডেপুটি গভর্নর, বিএফআইইউর প্রধান এবং উপদেষ্টা।
তবে তাদের পদত্যাগের দাবিতে বুধবার বিক্ষোভে অংশ নেওয়া কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার কাজে ফিরেছেন।
গণআন্দোলনে ক্ষমতার পালাবদলের পর বুধবার অস্থিরতা শুরু হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে; গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নরদের পদত্যাগের দাবিতে কয়েক ঘণ্টা বিক্ষোভ চলে মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রায় সব বিভাগের কর্মকর্তারা ওই বিক্ষোভে অংশ নেন। তাদের ভাষ্য ছিল, বাংলাদেশ ব্যাংক একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক নানা ‘অপকর্মে’ জড়িয়ে গেছে। ডেপুটি গভর্নররা কোনো কাজ ‘সঠিকভাবে’ করতে পারেন না। আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনাগুলোতে তারা সঠিক পদক্ষেপ নেননি।
এদিকে তোপের মুখে বুধবারই সাদা কাগজে সই করে দেন ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদূর রহমান। বাকি তিন ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার, মো. খুরশীদ আলম ও মো. হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মাসুদ বিশ্বাস এবং পলিসি অ্যাডভাইজর এর পদত্যাগের দাবিতেও বিক্ষোভ চলে।
পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক জানান, তাদের অপসারণের দাবি নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে উপস্থাপন করা হবে। আইন অনুযায়ী তাদেরকে সরকারের কাছেই পদত্যাগ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে গিয়ে গর্ভনর, চার ডেপুটি গভর্নর, বিএফআইইউর প্রধান এবং উপদেষ্টার কাউকে তাদের অফিসে পাওয়া যায়নি। কর্মচারীরা বলেছেন, তারা অফিসে আসেননি।
ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার বলেন, আজকে অফিসে আসিনি। আজকে আমি বাসা থেকে অফিস করছি।
পিএনএস/আনোয়ার
অফিসে করেননি গভর্নর ও জ্যেষ্ঠ ৬ কর্মকর্তা
08-08-2024 03:44PM