চার দফা দাবি আদায়ে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের নতুন কর্মসূচি

  09-02-2025 11:38PM

পিএনএস ডেস্ক: চার দফা দাবি আদায়ে আন্দোলনরত মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) শিক্ষার্থীরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য এলাকায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মুজাহিদুল ইসলাম।

তিনি জানান, সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা পর্যন্ত তারা রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন। এর মধ্যে দাবি আদায় না হলে দুপুর থেকে একযোগে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করবেন।

ম্যাটস শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি হচ্ছে– বৈষম্যমুক্ত বাংলায় বাংলাদেশ সরকারের প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ১৯৭৩-১৯৭৮ মোতাবেক উচ্চশিক্ষার সুযোগ দিতে হবে, অনতিবিলম্বে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার শূন্যপদে নিয়োগ প্রধানসহ কমিউনিটি ক্লিনিক সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিকে ম্যাটস সংস্কৃত ডিএমএফ ডিপ্লোমাধারীদের জন্য নতুন পদ সৃজন করতে হবে, অনতিবিলম্বে চার বছরের অ্যাকাডেমিক কোর্স বহাল রেখে পূর্বের মতো এক বছরের ভাতাসহ ইন্টার্নশিপ চালু করে অসংগতিপূর্ণ কোর্স কারিকুলাম সংশোধন করতে হবে এবং প্রস্তাবিত অ্যালাইড হেলথ প্রফেশনাল শিক্ষা বোর্ড বাতিল করে ‘মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড অব বাংলাদেশ’ নামে নতুন বোর্ড গঠন করতে হবে।

তিনটি দাবির বিষয়ে কোনো সুরাহা হয়নি জানিয়ে মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে আজও আমাদেরকে দাবি পূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তারা আমাদের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে তিনদিন সময় নিয়েছে। তবে আমাদের অন্য তিনটি দাবির বিষয়ে কোনো সুরাহা দেয়নি। কোনো নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়নি। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমাদের অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে যাব না। আমরা রাতেও শহীদ মিনারে অবস্থান করব এবং আগামীকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করব। যদি এই সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হয়, তাহলে আমরা আমরণ অনশনে যাব।

তিনি আরও বলেন, আমাদের একটি টিম যখন স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ডাকে সাড়া দিয়ে মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে গিয়েছিল, তখন আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রেসক্লাবে অবস্থানের উদ্দেশে শাহবাগ থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। কিন্তু শাহবাগের দিকে যাওয়ার সময় আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ অতর্কিত হামলা চালায়। ওই হামলায় আমাদের ৬০ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহতসহ ১২০ জনের মতো শিক্ষার্থী হামলায় আহত হন। তাদের মধ্যে অনেকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

পুলিশের হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে মুজাহিদুল বলেন, আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। যে পুলিশগুলো আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে, তারাই ফ্যাসিস্ট হাসিনার সময়ে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও গুলি চালিয়েছিল। আমরা এই হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।

পিএনএস/রাশেদুল আলম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন