পিএনএস ডেস্ক: গত ৩ ডিসেম্বর চিত্রনায়ক ওমর সানীর বাসায় চুরির ঘটনা ঘটে। চুরির ঘটনার ১৩ দিনের মাথায় এবার বাসায় ডাকাতি হয়েছে বলে জানালেন এই অভিনেতা। রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার সময় বাসায় ঢুকে ডাকাতির বিষয়টি টের পান বলে জানান ওমর সানী। সোমবার সকালে গণমাধ্যমকে ডাকাতির খবরটি নিশ্চিত করেন জনপ্রিয় এই চিত্রনায়ক।
ওমর সানী রাজধানীর ভাটারা থানার একটি আবাসিক এলাকায় থাকেন। তার স্ত্রী চিত্রনায়িকা মৌসুমী বছরখানেকের বেশি সময় ধরে মেয়ে ফাইজাকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে আছেন। ছেলে ফারদিন এহসান স্বাধীন থাকেন দুবাইয়ে। এই বাসায় সানীর সঙ্গে তার এক সহকারী থাকেন।
ডাকাতির ঘটনা ব্যাখ্যা করে ওমর সানী জানান, ‘প্রয়োজনীয় কাজে আমি বাসার বাইরে ছিলাম। রাত ১২টার পর ঘরের মেইন গেট দিয়ে ঢুকে দেখি বেডরুমে ঢুকতে পারছি না। ভেতর থেকে বন্ধ। বেডরুমের চাবিটাও আবার ভেতরে ছিল।
নানাভাবে চেষ্টার পর যখন ব্যর্থ হলাম, তখন বাড়ির কেয়ারটেকার ও আমার ম্যানেজারকে বিকল্প উপায়ে বেডরুমে ঢুকতে বলি। তারা বাইরে দিয়ে বারান্দা গিয়ে দেখতে পায়, সেখানকার দরজার গ্লাস ভাঙা। এরপর বেডরুমে ঢুকে দেখে ভেতর থেকে ছিটকিনি আটকানো। রুমের অবস্থা দেখে মনে হয়েছে বেশ কয়েকজন এসেছিল। ছিটকিনি খোলার পর বেডরুমে ঢুকে দেখি, অনেক প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট নেই।
এর মধ্যে দুই কোটি টাকা প্রতারণার একটি মামলার ডকুমেন্টও যেমন আছে, তেমনি একটি আইফোন এবং আমার মেয়ের ছোটবেলার উপহারের কিছু স্বর্ণালংকারও ছিল।’
ওমর সানী আরো বলেন, ‘আমার ছেলে ফারদিন ব্যবসা করতে গিয়ে দুই কোটি টাকা প্রতারণা শিকার হয়েছিল। এ নিয়ে একটি মামলা চলছিল। সামনে এই মামলার রায় ঘোষণার কথা। এর মধ্যে আমার বাসা থেকে অন্য সব জিনিসের পাশাপাশি মামলার অরিজিনাল সব ডকুমেন্ট নিয়ে গেছে! বেডরুমে একটি দামি ল্যাপটপও ছিল, তা কিন্তু নিয়ে যায়নি। তার মানে এটা নিশ্চিত, যারা এসেছিল, তাদের টার্গেটই ছিল মামলার অরিজিনাল ডকুমেন্ট নিয়ে যাওয়া। আমি সত্যিই হতবাক এমন ঘটনায়। বারবার মনে হচ্ছিল, এমনটা তো শুধু ফিল্মে সম্ভব। আমি আমার বাড়িতে ফিল্মি স্টাইলে এমন ডাকাতির নজির দেখলাম! তবে এটা তো ঠিক, আমার আইনজীবীর কাছে তো মামলার সব ডকুমেন্ট আছে। আমাকে অযথা হয়রানি করা ছাড়া আর কিছুই না। আমি এত সহজে দমে যাওয়ার মানুষ নই। জন্মেছি যখন মরব, আমি এসবের শেষ দেখেই ছাড়ব। আমি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর দায়িত্বশীল সবাইকে বিষয়টি জানিয়েছি। ভাটারা থানায় মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
গত বছরের আগস্টে ওমর সানী জানিয়েছিলেন, তার ছেলে ফারদিন বিট কয়েন ও ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে এক ব্যক্তির সঙ্গে ২ কোটি টাকার লেনদেন করে প্রতারিত হয়েছেন। ছেলের প্রতারিত হওয়ার সেই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করে গণমাধ্যম ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সাহায্যও চেয়েছিলেন এই অভিনেতা।
এসএস
এবার সিনেমার স্টাইলে ডাকাতি ওমর সানীর বাসায়
16-12-2024 05:29PM