সংস্কার ও নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে আলোচনা

  01-09-2024 10:19AM



পিএনএস ডেস্ক : রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিকাল তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে এ মতবিনিময় করেন তিনি। আলোচনায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র সংস্কার, নির্বাচন বিষয়ে আলোচনা হয়। তবে নির্বাচন কবে হবে তা নিয়ে স্পষ্ট কোনো বার্তা মেলেনি। দলগুলো সম্ভাব্য সংস্কার শেষে দ্রুত সময়ে নির্বাচন আয়োজনের পরামর্শ দিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাও এ বিষয়ে একমত পোষণ করেন। আলোচনা শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টা দলগুলোর মতামত নিচ্ছেন। সবার মতামত নেয়ার পর তিনি একটি রূপরেখা দেবেন। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান ও ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. এএফএম খালিদ হোসেন ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে দলগুলোর পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টাকে লিখিত প্রস্তাবনা দেয়া হয়।

মতবিনিময়ে অংশ নেয়া প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দলই তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, সংস্কার, যৌক্তিক সময়ে নির্বাচনের রোডম্যাপ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অসম চুক্তি বাতিল, গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের ব্যবস্থা করা, গত ৫৩ বছরের রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তনের দাবি জানায়।

মতবিনিময় শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, উপদেষ্টা দলগুলোর কাছে জানতে চেয়েছেন সংবিধান নতুন করে লেখা হবে নাকি সংস্কার করা হবে। অনেকেই বলেছেন, ক্ষমতা প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ভাগ করে দেয়ার কথা। তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলাম নেতারা বলেছেন- তাদের সমাবেশে ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগমনের সময় কতো মানুষ মারা গেছেন তা নতুন করে তদন্ত করা হোক। যাতে জনগণ জানতে পারবে কতোজন মারা গিয়েছেন। এ ছাড়াও শিক্ষানীতির আমূল পরিবর্তন করার কথা বলা হয়।

শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা একটা রূপরেখা দেবেন। এখন শুধুমাত্র তাদের কথা শুনছেন। সংস্কারের কথাগুলো জানতে চাইছেন। ছাত্র-জনতা রাষ্ট্রের মেরামত চাইছেন। এটা কীভাবে হবে, সেটাও জানতে চাইছেন। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বলেন, আমরা আশা করি, একটা কমিপ্রহেন্সিভ রিফর্ম হবে। সংস্কারের রূপরেখার মাঝেই সময় নিহিত থাকবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার।

হেফাজতে ইসলামসহ ৭টি ইসলামী দলের সঙ্গে সভা: শুরুতে ৭টি ইসলামী দলের নেতাদের সঙ্গে সভা করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এতে তারা দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে এক ব্যক্তির দুই মেয়াদের বেশি না থাকার প্রস্তাব দিয়েছেন। পাশাপাশি একটা যৌক্তিক সময় নিয়ে সংস্কারগুলো করে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করতে বলেছেন। সভায় হেফাজতে ইসলাম আগামী ১ মাসের মধ্যে তাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। প্রথম সভায় অংশ নেন খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, হেফাজতে ইসলাম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, খেলাফত আন্দোলন এবং নেজামে ইসলাম পার্টির নেতারা। এরপর অংশ নেন ইসলামী আন্দোলনের নেতারা। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে খেলাফত মজলিসের নেতৃত্ব দেন দলের আমীর আবদুল বাছিত আজাদ। তার সঙ্গে ছিলেন মহাসচিব আহমাদ আবদুল কাদের, নায়েবে আমীর সাখাওয়াত হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মুনতাসীর আলী ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক কাজী মিনহাজুল ইসলাম মিলন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতৃত্ব দেন দলটির আমীর ইউসুফ আশরাফ। তার প্রতিনিধিদলে ছিলেন মহাসচিব মামুনুল হক ও যুগ্ম মহাসচিব জালাল উদ্দিন। জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের একাংশের নেতৃত্ব দেন সংগঠনের মহাসচিব মনজুরুল ইসলাম আফেন্দি।

হেফাজতে ইসলামের নেতৃত্ব দেন মহাসচিব সাজেদুর রহমান। তার সঙ্গে ছিলেন আজিজুল হক, কেন্দ্রীয় নেতা মুনীর হোসেন কাশেমী। নেজামে ইসলামের নেতৃত্ব দেন নির্বাহী সভাপতি মাওলানা আশরাফুল হক। তার সঙ্গে ছিলেন মহাসচিব মাওলানা মোমিনুল ইসলাম। খেলাফত আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন নায়েবে আমীর মজিবুর রহমান হামিদী। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতৃত্বে ছিলেন চরমোনাই পীর সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম। তার সঙ্গে ছিলেন সিনিয়র নায়েবে আমীর সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, মহাসচিব ইউনুস আহমাদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান ও যুগ্ম মহাসচিব আশরাফুল আলম।

সভা শেষে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজত নেতা মামুনুল হক বলেন, প্রত্যেক দল যার যার পক্ষ থেকে সংস্কার প্রস্তাবনাগুলো তুলে ধরেছে। সেখানে মৌলিকভাবে যে প্রস্তাবগুলো এসেছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার। নির্বাচন কমিশনসহ সমস্ত বৈষম্যমূলক প্রতিষ্ঠান, যেটি দলীয় ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয়েছে, সেটিকে ঢেলে সাজাতে হবে। নতুন ভাবে সংস্কার করে যেন নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা যায়। তার জন্য আমূল পরিবর্তনের একটি সংস্কার প্রস্তাবনা নিয়ে এসেছি। দেশব্যাপী সব ভোটাধিকার প্রয়োগকারীদের প্রতিনিধিত্ব যেন জাতীয় সংসদে নিশ্চিত করা যায় সে রকম একটা প্রস্তাব আমরা দিয়েছি।

তিনি বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমরা দেখছি- সর্বোচ্চ ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ ভোটারের প্রতিনিধিত্ব জাতীয় সংসদে থাকে। যারা বিভিন্ন আসনের প্রতিনিধিত্ব করছেন দেখা যায় তাদের বিপক্ষে ভোটদানকারীর সংখ্যা বেশি। কাজেই এ ব্যবস্থার আমূল সংস্কার এনে এমন একটি ব্যবস্থা হয় যেন অধিকাংশ ভোটারের প্রতিনিধিত্বকারীরা কোনো না কোনোভাবে জাতীয় সংসদে থাকে। এ ছাড়া বিচার বিভাগ, শিক্ষা বিভাগ ও প্রশাসনে আমূল পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকেন্দ্রিক ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার যে পদ্ধতি যার মাধ্যমে স্বৈরতন্ত্রের উদ্ভব সে জায়গা যেন ভারসাম্য তৈরি করা হয় এমন একটি প্রস্তাব করা হয়েছে। সংবিধানে আল্লাহর ওপর অবিচল আস্থা ও বিশ্বাসের যে ধারাটি ছিল সেটি যেন পুনর্বহাল করা হয়। দুই বারের বেশি যেন কেউ এক সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে না পারেন, সেটারও সংবিধানে সংস্কার করার কথা বলেছি। এ ছাড়া হেফাজতে ইসলামের বিভিন্ন আন্দোলনে অনেক হতাহত ও নিখোঁজদের একটা প্রতিবেদন যেন আমাদের সামনে আনা হয়। সকল হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে এর নির্দেশদাতা ও অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছি।

মামুনুল হক বলেন, হেফাজতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বহু মামলা রয়েছে সেগুলো যেন নির্বাহী আদেশ ও আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এক মাসের মাধ্যমে প্রত্যাহার করা হয়। এ ছাড়া দেশে আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে ইসলামবিরোধী যেনো কোনো আইন প্রণয়ন না করা হয় সে দাবিও করেছি আমরা। প্রধান উপদেষ্টা আমাদের বক্তব্য অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে শুনেছেন। তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকারকে রাষ্ট্র পরিচালনায় সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন। আমরা তার আহ্বানে সাড়া দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছি। সে সঙ্গে যৌক্তিক সময় নিয়ে সংস্কার করে অযথা কালবিলম্ব না করে নির্বাচনের আয়োজন করার কথা বলেছি আমরা। প্রধান উপদেষ্টাও এ কথার সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর তারাও নির্বাচনে চলে যেতে আগ্রহী।

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি: আলোচনায় লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতৃত্ব দেন কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ। প্রতিনিধিদলে ছিলেন ড. রেদোয়ান আহমেদ, নেয়ামূল বশির, নুরুল আলম তালুকদার এবং আওরঙ্গজেব বেলাল। সভায় ৮৩ প্রস্তাব দিয়েছে এলডিপি। অলি আহমেদ বলেন, জামায়াতের যদি ছোট ছোট তুচ্ছ কারণে নিবন্ধন বাতিল করা যায় তাহলে আমাদের হাজার ছাত্রদের হত্যা ও ১৫ বছর অসংখ্য গুমের জন্য তাদেরটা (আওয়ামী লীগ) কেন বাতিল হবে না। না হলে আগামীতেও স্বৈরাচার তৈরি হবে। পর্যায়ক্রমে নির্বাচনের জন্য একটা সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করার কথা বলেছি। এটা হলে দলগুলো প্রস্তুত হতে পারবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটা সবার জন্য ভালো। সংস্কার সম্পূর্ণ করেই এই নির্বাচন হতে হবে। পাঠ্যপুস্তকগুলোয় ধর্মবিরোধী কথা বাদ দিতে হবে। আর আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে ৮৩ প্রস্তাব রেখেছি। যেগুলো প্রয়োজন এগুলো গ্রহণ করবেন। আমাদের মূল লক্ষ্য পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ। এখনো কোর্ট কাচারিতে ন্যায়বিচার মিলছে না। এখনো বাংলাদেশ চাঁদাবাজমুক্ত হয় নাই। আমরা বলেছি যে, ইসলাম ধর্ম মানে না তাকে ছাড় দেবার কোনো কারণ নাই।

ওদিকে ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তারা জোটের পক্ষে প্রধান উপদেষ্টার কাছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল এবং সংস্কার শেষে স্বল্পতম ও যৌক্তিক সময়ে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণাসহ ১২ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের নেতৃত্বে ১২ দলীয় জোটের নেতারা আলোচনায় অংশ নেন। এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট আলোচনায় অংশ নেয়।

জাতীয় পার্টি: সভা শেষে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সবারই কমবেশি ভুল-ত্রুটি আছে। আমাদের অনেক ভুল ত্রুটি আছে বলে নির্বাচনে যাওয়ার। তখনকার প্রেক্ষাপটে নির্বাচন করেছি। এই কাজগুলো এখন এই সরকার করতে পারবে। বিচার বিভাগ নিরপেক্ষকরণের কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার সামঞ্জস্য, একই ব্যক্তি যাতে প্রধানমন্ত্রী ও দলের নেতা না হয় এগুলো বলেছি। এ ছাড়া সংস্কারে যতটুকু সময় লাগে ততটুকু সময় দেয়া হবে বলে জানিয়েছি। সভায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের, কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মনিরুল ইসলাম মিলন ও মাসরুর মওলা উপস্থিত ছিলেন।

গণফোরাম: দলটির ৮ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সভা করেন প্রধান উপদেষ্টা। দলের নেতৃত্ব দেন প্রতিষ্ঠাতা ড. কামাল হোসেন। সভা শেষে গণফোরাম নেতা ডা. মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমরা কয়েকটি দাবি রেখেছি। এরমধ্যে প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের মাঝে ক্ষমতার ভারসাম্য আনা দরকার। সকল ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর হাতে যাতে না থাকে, সে বিষয়ে প্রস্তাব রাখা হয়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা জানতে চেয়েছেন কীভাবে সংবিধান সংশোধন করা যেতে পারে। আমরা সময় নিয়েছি। বলেছি, কংক্রিট একটা সংস্কারপন্থা উত্থাপন করা হবে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ: বর্তমান সংবিধান বাতিল করে একটি সাংবিধানিক কমিশন গঠন করে নতুন ‘সংবিধানের’ খসড়া তৈরি এবং জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করাসহ ১৩ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিমের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল এই সভায় অংশ নেন। সভা শেষে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেন, আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি, আওয়ামী লীগের দ্বারা যেসব সম্পদ পাচার হয়েছে তা ফিরিয়ে আনা সম্ভব না হয়, তবে দেশে থাকা সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হোক। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি শেখ হাসিনার মতো হয় তাহলে দুইবার না, একবারও চাই না।

বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (বাংলাদেশ জাসদ): সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ৮ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে বাংলাদেশ জাসদ। সেগুলো হলো- বিদ্যমান সংবিধান সংস্কার করে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যাতে আবার নতুন কোনো স্বৈরাচার চেপে না বসে, দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট সংসদ কায়েম, উচ্চ কক্ষের স্পিকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হতে পারে, দেশকে ৫/৬টি প্রদেশের বিভক্ত করে ফেডারেল কাঠামোতে শাসনব্যবস্থা বিন্যস্ত করা, নির্বাচনের ক্ষেত্রে বর্তমান পদ্ধতির পাশাপাশি রাজনৈতিক দলসমূহের প্রাপ্ত ভোট অনুযায়ী সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি চালু করা, লুটপাট ও সম্পদ পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ও দায়ীদের বিচার করা এবং লুণ্ঠিত টাকা উদ্ধার ও জাতীয় রাজনীতিতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা, পুলিশ পুনর্গঠন, স্বাধীন বিচারব্যবস্থা, কালাকানুন বাতিল করা, বৈষ্যমূলক রাজনৈতিক দলবিধি বাতিল, শিক্ষা কমিশন ও স্বাস্থ্য কমিশন গঠন। জাসদের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন