পিএনএস ডেস্ক: তাবলিগ জামাতের সাদপন্থিদের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন মাওলানা জোবায়ের অনুসারীরা। একইসঙ্গে সম্প্রতি ইজতেমার মাঠে হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবিও জানিয়েছেন তারা।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে ওলামা-মাশায়েখ বাংলাদেশ ও তৌহিদি জনতার ব্যানারে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশ এ দাবি জানানো হয়। পরে বায়তুল মোকাররমের সামনের সড়কে মিছিল করেন আন্দোলনকারীরা।
এ সময় বক্তারা বলেন, প্রশাসনের ভেতরে থাকা সাদপন্থিদের সমর্থকরা পরিস্থিতি জটিল করে তুলছে। সরকারকে সাদপন্থিদের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।
তারা আরও বলেন, একটা ইজতেমা হবে। সাদপন্থিদের ইজতেমা করতে দেওয়া হবে না। দুটি ইজতেমা হবে না। সাদপন্থিদের তাবলিগ করতে দেওয়া হবে না। হত্যা করে তারা জামিন পেয়ে যায়। তারা প্রকাশ্যে হত্যা করলেও প্রকাশ্যে জামিন পেয়ে যায়। তাদের জামিন বাতিল করতে হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন, মাওলানা আনোয়ার হোসেন, মাওলানা আবু হাসেম কাশফী, মাওলানা আতাউর রহমান, মাওলানা আলী ওসমান, মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ, মাওলানা দেলোয়ার হোসেন, মাওলানা এমদাদুল্লাহ, মাওলানা ফয়সাল, মাওলানা আফসার মাহমুদ, মাওলানা মজিবুর রহমান প্রমুখ।
এর আগে, তাবলিগ জামাতের সাদপন্থিদের গ্রেপ্তার, বিচার ও নিষিদ্ধ করার দাবিতে ১০ জানুয়ারি দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেন শুরা-ই-নেজাম বা বাংলাদেশের মাওলানা জোবায়ের অনুসারীরা। গত ৪ জানুয়ারি কাকরাইল মসজিদ প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা জানান তাবলিগ জামাতের জোবায়েরপন্থিরা।
উল্লেখ্য, ১৭ ডিসেম্বর রাতে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে জোবায়েরপন্থিদের সঙ্গে সাদপন্থিদের সংঘর্ষে চারজন নিহত হন। এ ঘটনায় ১৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সাদ কান্ধলভীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকশজনকে আসামি করে টঙ্গী পশ্চিম থানায় হত্যা মামলা করা হয়। এ মামলায় ১৯ ডিসেম্বর রাতে টঙ্গী পশ্চিম থানার মুফতি মুয়াজ বিন নূরকে রাজধানীর খিলক্ষেতের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পিএনএস/ এএ
সাদপন্থিদের নিষিদ্ধের দাবিতে বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ
10-01-2025 04:39PM