বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে আবার আলোচনায় লকডাউন!

  06-01-2025 05:35PM

পিএনএস ডেস্ক: ২০১৯ সালের শেষদিকে চীনে ব্যাপকহারে সংক্রমণ বাড়ে নতুন এক ভাইরাসের, যার নাম কোভিড-১৯ বা করোনা। একপর্যায়ে সেটি মহামারির রূপ নেয় সারাবিশ্বে। লকডাউনে চলে যায় পুরো বিশ্ব। পুরো বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশও চলে যায় লকডাউনে। থমকে যায় সারাবিশ্বের অর্থনীতি। একইসঙ্গে সারাবিশ্বে প্রাণ হারায় লাখ লাখ মানুষ।

সেই বিভীষিকা মহামারির আতঙ্ক না কাটতে কাটতেই আবারো পাঁচ বছর পর নতুন ব্যাধি আতঙ্কে পূর্ব এশিয়ার দেশ চীন। এখনো নিশ্চিত হওয়া না গেলেও, প্রাথমিক ধারণা, রাইনোভাইরাস ও হিউম্যান-মেটা-নিউমো (এইচএমপি) ভাইরাসের সংক্রমণে দেশটিতে রহস্যময় এই রোগের প্রাদুর্ভাব। এই ভাইরাস যদি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে তাহলে আবারো লকডাউনে যেতে পারে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্ব। ভারতসহ এশিয়ার কয়েকটি দেশে এই ভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে লকডাউন শব্দটা আলোচনায় এসেছে।

ভাইরাসটির মূল লক্ষণ শ্বাসতন্ত্রের জটিলতা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানান, এইচএমপিভি ভাইরাসের লক্ষণগুলো করোনার মতো হতে পারে। তারা এই পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এটা নতুন কোনো ভাইরাস নয়। এমনকি এ নিয়ে বাংলাদেশে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।

শ্বাসতন্ত্রে ছড়ায় এমন অন্যান্য ভাইরাসের মতোই নতুন এই ভাইরাস বলছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকটা ইনফ্লুয়েঞ্জা ধরণের ভাইরাসের আক্রমণের মতোই, যার উপসর্গ হিসেবে জ্বর-স্বর্দি-কাশি-ঠান্ডা হয়ে থাকে। কোভিড-১৯ একেবারে ভিন্ন ও নতুন আবহের ভাইরাস হওয়ায় এর প্রাদুর্ভাব বা মহামারির রেশ এতোটা বিস্তর হয়েছিল। তবে এইচএমপি নিয়ে আতঙ্কিত না হবারও পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে সার্স-কোভ-২ (কোভিড-১৯) নামের একটি হ্যান্ডল থেকে বলা হয়েছে, চীন একাধিক ভাইরাসের উত্থানের মুখোমুখি, যার মধ্যে রয়েছে ইনফ্লুয়েঞ্জা এ, এইচএমপিভি, মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া এবং কোভিড-১৯। হাসপাতালগুলোতে নিউমোনিয়া এবং হোয়াইট লাংয়ে আক্রান্ত শিশুদের চাপ বাড়ছে।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই ভাইরাসটি মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। এর লক্ষণ, বিস্তারের ধরণ এবং প্রতিরোধের উপায় নিয়ে আলোচনা চলছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে এবং সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

পিএনএস/ এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন