রমজান ও ঈদে নগদ টাকা বহনে ‘মানি এসকর্ট’ সার্ভিস দেবে ডিএমপি

  20-02-2025 08:56PM

পিএনএস ডেস্ক: পবিত্র রমজান মাস ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কোনো ব্যক্তি, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান অধিক পরিমাণ অর্থ লেনদেন ও স্থানান্তরে সহায়তা প্রয়োজন মনে করলে তাদের এসকর্ট সেবা দেবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

বৃহস্পতিবার ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে তালেবুর রহমান বলেন, পবিত্র রমজান মাস ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ক্রয়-বিক্রয়, ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থের লেনদেন ও স্থানান্তর বৃদ্ধি পাবে। কোনো ব্যক্তি, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান অধিক পরিমাণ অর্থ স্থানান্তরের জন্য পুলিশের সহায়তা প্রয়োজন মনে করলে তাদের ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এসকর্ট সেবা দেবে।

তবে এক্ষেত্রে পুলিশ এসকর্ট প্রত্যাশী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে যানবাহনের সংস্থান করতে হবে বলেও জানান তিনি।

সহায়তা প্রত্যাশী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সংশ্লিষ্ট থানা অথবা পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করার জন্য পরামর্শও দিয়েছে ডিএমপি।

কন্ট্রোল রুমের নম্বর
ফোন: ২২৩৩৮১১৮৮, ০২৪৭১১৯৯৮৮, ০২৯৬১৯৯৯৯, ০১৩২০-০৩৭৮৪৫ এবং ০১৩২০-০৩৭৮৪৬।
এছাড়া জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে (৯৯৯) কল করেও এস্কর্ট সেবা মিলবে।

অর্থ উত্তোলন ও স্থানান্তরের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মেনে চলার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানান মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। সেগুলো হলো :
১. বড় অংকের অর্থ একা বহন না করে অতিরিক্ত একাধিক বিশ্বস্ত ব্যক্তিকে সঙ্গে রাখা যেতে পারে। অর্থ বহন সংক্রান্ত কোনো তথ্য আগেই অন্যকে জানানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
২. হেঁটে অথবা রিকশায় অর্থ বহনের পরিবর্তে গাড়িতে অর্থ বহন করা যেতে পারে।
৩. নগদ অর্থ বহনের আগে নিশ্চিত হতে হবে যেন আপনার দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কেউ দুষ্কৃতকারীদের না জানিয়ে দেয়।
৪. দৈনিক নগদ অর্থ বহনের প্রয়োজন হলে মাঝেমধ্যে ভিন্ন পথ ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে দুষ্কৃতকারীরা আগে থেকে ওত পেতে থাকার সুবিধা নিতে পারবে না।
৫. অর্থ বহনের সময় ব্যাগ এমনভাবে ব্যবহার করতে হবে যেন বাইরে থেকে বোঝা না যায়। এতে দুষ্কৃতকারীরা প্রলুব্ধ হওয়ার সুযোগ পাবে না।
৬. সব টাকা একসঙ্গে না রেখে বিভিন্ন জায়গায় যেমন পকেটে, ব্যাগে, সঙ্গীয় ব্যক্তির কাছে ভাগ করে রাখা যেতে পারে।
৭. গলি কিংবা নির্জন পথ ব্যবহারের পরিবর্তে অপেক্ষাকৃত ব্যস্ত সড়ক ব্যবহার করা যেতে পারে।
৮. ট্রাফিক সিগন্যাল বা জ্যামে পড়লে অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে হবে।
৯. সিসি ক্যামেরা আছে এমন ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন করার চেষ্টা করতে হবে। ব্যাংক থেকে বের হওয়ার পর বুঝার চেষ্টা করতে হবে সন্দেহজনক কেউ আপনাকে অনুসরণ করছে কি না।
১০. বড় অংকের অর্থ পরিবহনের কাজ রাতে না করে দিনের বেলায় সম্পন্ন করা যেতে পারে।
১১. এটিএম বুথের অভ্যন্তরে থাকা কোনো গোপন ক্যামেরায় আর্থিক লেনদেনে ব্যবহৃত গোপন নম্বর ধারণ করা হচ্ছে কি না সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
১২. এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফারের কাজটি চেকের মাধ্যমে সম্পন্ন করা যেতে পারে।
১৩. বড় অংকের টাকা পরিবহনে প্রয়োজনে পুলিশ এসকর্ট সেবা নিতে পারেন।

এসএস

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন