বাজারে আসছে আগাম জাতের লিচু

  11-05-2024 04:33PM

পিএনএস ডেস্ক: বগুড়ার বাজারে উঠতে শুরু করেছে মধু মাসের রসালো ফল লিচু। গ্রীষ্মের প্রখর গরমে এ ফল বগুড়া শহরের বিভিন্ন বাজারে দেখা মিলছে। ভালো মুনাফা পাওয়ার আশায় ব্যবসায়ীরা বাজারে নিয়ে এসেছেন যশোরের আগাম লিচু। তবে রাজশাহী বা দিনাজপুরের পরিপুষ্ট লিচু এখনো সেভাবে আসতে শুরু করেনি। যা এসেছে সেগুলো অপরিপক্ব ও আকারে ছোট।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, তীব্র দাবদাহে লিচু ঝরে গেছে। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়ে পরিপক্ব হওয়ার আগেই লিচু বিক্রি করে দিচ্ছেন বাগান মালিকরা। ফলে লিচুর আসল স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ভোক্তারা। দামও অনেক চড়া।

জানা যায়, বগুড়া শহরের সাতমাথা, স্টেশন রোড, কাঁঠালতলা, কলোনী, কালীতলা ও খান্দারসহ বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে যশোরের লিচু। আকারে ছোট এসব অপরিপক্ব লিচু প্রতি-একশ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। তবে বাজারে রাজশাহী ও দিনাজপুরের লিচু না আসায় ক্রেতাদের তেমন একটা ভিড় চোখে পড়ছে না। আর কিছু দিনের মধ্যে বাজারে পরিপুষ্ট লিচু আসলে ভোক্তাদের মন জুড়াবে। তখন চাহিদা ও বিক্রিও বেড়ে যাবে। লিচুর গুণগত মান ধরে রাখার জন্য আরও কয়েকদিন পর লিচু বাজারজাত করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের। অপরিপক্ব লিচু খেলে ভোক্তারা লিচুর পুষ্টিমাণ পাবেন না। লিচুর স্বাদ থেকেও বঞ্চিত হবেন।

এদিকে চলতি মৌসুমে দেশি লিচু অনাবৃষ্টি ও প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে কালচে হয়ে ফেটে যাচ্ছে। তীব্র তাপপ্রবাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে এ বছর প্রতিটি লিচু গাছের প্রায় ৪০ থেকে ৫০ ভাগ গুঁটি ঝরে গেছে। যার ফলে ফলনও কম হয়েছে।

বগুড়া জেলা বহিরাংগন বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি কর্মকর্তা আদনান বাবু জানান, সুমিষ্ট ও রসালো লিচুর জন্য ২৮ থেকে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় চাষাবাদের জন্য সবচেয়ে উপযোগী। টানা কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ৩৯ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করেছে। অনাবৃষ্টির কারণে গুটি ঝরে গেছে এবং লিচুর আকার ছোট হয়েছে। তবে আকারে ছোট হলেও প্রখর রোদের কারণে সুমিষ্ট হয়েছে লিচুসহ অন্যান্য ফল। রোদ যত বেশি হবে ততই ফল মিষ্টি হবে। বৃষ্টির সময় ফলের গুটি আসলে স্বাদ ও মিষ্টি কমে যায়। তবে লিচুর গুণগতমান ঠিক রাখার জন্য আরও কয়েকদিন পর লিচু সংগ্রহ করতে হবে।

বগুড়া শহরের স্টেশন সড়কের লিচু ব্যবসায়ী মিঠুন মিয়া জানান, বাজারে যশোরের আগাম লিচু আসতে শুরু করেছে। ১০০টি লিচু ৩০০ থেকে ৩৫০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে সপ্তাহ খানেকের মধ্যে রাজশাহী ও দিনাজপুরের পরিপুষ্ট রসালো লিচু পাওয়া যাবে বগুড়ার বাজারগুলোয়। সাধারণত দিনাজপুরের লিচু স্বাদে ও মানে আলাদা। সারা দেশেই এ লিচুর চাহিদা বেশি। বিভিন্ন জাতের লিচুর মধ্যে বেদানা, বোম্বাই, মাদ্রাজি, চায়না-থ্রি এখানো বাজারে আসেনি। অধিকাংশ ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে চায়না থ্রি।

বগুড়া ফল ব্যবসায়ী সমিতির দপ্তর সম্পাদক নাহিদুল ইসলাম নাহিদ জানান, বর্তমানে বাজারের সিংহভাগ যশোর এবং নাটোরের আহম্মেদপুরের যে লিচু এসেছে এটি মোজাফফর জাতের। ভালো লাভের আশায় পরিপক্ক হওয়ার আগেই চাষিরা এগুলো বাজারে বিক্রি করছে। এক থেকে দেড় সপ্তাহের মধ্যে রাজশাহী ও দিনাজপুরের পরিপুষ্ট রসালো লিচু পাওয়া যাবে।

এসএস

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন