সহকর্মীদের হাতে মারধরের শিকার শিক্ষক

  28-08-2024 08:46AM

পিএনএস ডেস্ক: রাজধানীর উত্তরা নওয়াব হাবিবুল্লাহ স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক হাসান মোহাম্মদ রকিবুল ইসলামকে মারধর করেছেন তার সহকর্মীরা। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকালে কলেজের শিক্ষকদের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার শিক্ষক হাসান মোহাম্মদ রকিবুল ইসলাম কলেজটির বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। হামলার পর তাকে কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষকের স্ত্রী শারমিনা উত্তরা-পূর্ব থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। যাদের নামে অভিযোগ করেছেন তারা হলেন- কলেজের খণ্ডকালীন শিক্ষক মিরাজ হোসেন (৪২), কম্পিউটার অপারেটর শফিকুল ইসলাম সবুজ (৩৫), শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক আসাদুজ্জামান (৪৫), বাহাদুর হোসেন (৪২) ইংরেজির শিক্ষক হারুন অর রশিদ (৫০) ও পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন (৪৮)।

লিখিত অভিযোগে কলেজ শিক্ষক হাসান মোহাম্মদ রকিবুলের স্ত্রী উল্লেখ করেছেন, গত ২৫ আগস্ট তার স্বামী হাসান মোহাম্মদ রকিবুল ইসলাম কলেজে ইংরেজি শিক্ষক হারুন অর রশিদের সঙ্গে মর্নিং ও ইভিনিং শিফট নিয়ে কথা বলছিলেন। সেসময় বিনা কারণে খণ্ডকালীন শিক্ষক মিরাজ হোসেন তার স্বামীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। হাসান মোহাম্মদ রকিবুল তাদের দুজনের মধ্যে মিরাজকে কথা বলতে নিষেধ করলে তিনি চেয়ার তুলে মারতে তেড়ে আসেন। অন্য সহকর্মীরা সেদিন বিষয়টি মীমাংসা করে দেন।

এরপর মঙ্গলবার (২৭ অগাস্ট) তার স্বামী কলেজে গেলে তাকে কারণ ছাড়াই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন মিরাজ ও তার সহযোগীরা। গালি দিতে নিষেধ করায় রকিবুলের ওপর হামলা চালান তারা। এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি দিয়ে তাকে জখম করেন। তাছাড়া ক্রিকেট খেলার স্টাম্প দিয়ে তার মাথায় আঘাতও করা হয়। একই সঙ্গে তাকে হত্যার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখান কম্পিউটার অপারেটর শফিকুল ইসলাম সবুজ।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী শিক্ষক হাসান মোহাম্মদ রকিবুল ইসলামের স্ত্রী শারমিনা বলেন, বিনা কারণে আমার স্বামীর ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় গভর্নিং বডির সদস্যদের ইন্ধন রয়েছে বলে মনে করছি আমরা। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের শাস্তি চাই।

উত্তরা-পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) লিটন শরীফ বলেন, আহত শিক্ষকের স্ত্রী থানায় এসে আমাকে কল করেছিলেন। কিন্তু ওই সময় আমি আরেকটা ঘটনায় বাইরে ছিলাম। তিনি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়ে গেছেন। সেটা যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানতে চাইলে নওয়াব হাবিবুল্লাহ স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মির্জা মাহমুদা বলেন, কিল-ঘুসির ঘটনা ঘটেছে। লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাতের বিষয়টি অতিরঞ্জিত। ২৫ আগস্টের ঘটনার পরই আমরা একটা তদন্ত কমিটি করেছিলাম। সেটা কাজ শুরুর আগেই আজ মারামারির ঘটনা ঘটে গেছে।

তিনি বলেন, পুরো বিষয়টি তদন্তে সিনিয়র শিক্ষক আফসানা জাহানকে আহ্বায়ক ও সোয়াইব আহমেদকে যুগ্ম-আহ্বায়ক করে তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্তে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পিএনএস/রাশেদুল আলম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন