পিএনএস ডেস্ক: বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ নীতিমালা ঠিক নেই বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের নীতিমালা সংস্কার ও নিয়োগে স্বচ্ছতার কথাও তুলে ধরেছেন উপাচার্য।
উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব লিখেছেন, অনেক বছর পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ শুরু হতে যাচ্ছে, ইনশাল্লাহ। এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। দুর্নীতি এবং দলান্ধতার কারণে এই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া জটিল হয়ে দাঁড়ায়। এই বিষয় নিয়ে লেখার প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু দেখতে পাচ্ছি আর সব বিষয়ের মতো এই বিষয়টি সামনে এনেও পানি ঘোলা করার একটা চেষ্টা। কিছু বিষয় তাই একদম পরিষ্কার করে দিতে চাই। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অল্প কিছু বিভাগের নিয়োগ সংক্রান্ত কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। এই সমস্ত বিভাগের সম্মতিক্রমে শিক্ষক নিয়োগ শুরু হতে যাচ্ছে। প্রক্রিয়ার সমস্ত দিক বিবেচনায় নিয়েই আমরা শুরু করব। বেশিরভাগ বিভাগ পুরোপুরি প্রস্তুত না। তাদের রি-সার্কুলারে যেতে হবে। যারা প্রস্তুত তারাও চাইলে আবার সার্কুলার দিতে পারে। প্রত্যেকটি বিভাগকে এই ব্যাপারে প্রশাসনের তরফ থেকে চিঠি দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও লিখেছেন, বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ নীতিমালা ঠিক নেই। আমরা নীতিমালা সংস্কার করব। এইসব বিষয়ে আমার কিছু জানাশোনা আছে। একটি শক্তিশালী কমিটি এই ব্যাপারে কাজ শুরু করবে। নতুন সব সার্কুলার নতুন নীতিমালার অধীনে করতে হবে। এখানে একটি বিষয় একদম পরিষ্কার করে দিতে চাই। নীতিমালার থেকে অনেক ইম্পরট্যান্ট হচ্ছে নিয়োগ বোর্ডে কারা আছেন। খারাপ মানুষ, কিন্তু খুব ভালো নীতিমালা কাজ করে না। যারা ধুরন্ধর তারা ঠিকই ফাঁকফোকর দিয়ে অযোগ্য নিয়োগ দিয়ে থাকে। অন্যদিকে বিষয়জ্ঞানে ভালো এবং সততা আছে এমন মানুষ বোর্ডে থাকলে নীতিমালা যাই হোক না কেন, যোগ্যতম প্রার্থীকেই নিয়োগ দেওয়া হয়। এটা মনে রাখতে হবে। বর্তমান প্রশাসন এই দিকটাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। আস্থা রাখতে হবে। বৃক্ষের পরিচয় তার ফলে।
উপাচার্য উল্লেখ করেন, দায়িত্ব গ্রহণে সম্মত হওয়ার পর থেকেই মনে করেছি, আমি এই পদে বেশি দিন নেই। যাওয়ার আগে এই বিশ্ববিদ্যালয় বহুদিন ধরে সুফল ভোগ করবে এমন কিছু কাজ করে দিতে চাই। এর ভেতর নিয়োগ একেবারে সামনের দিকে। যদি প্রায় প্রতিদিন আমাদের বিভিন্ন ধরণের সঙ্গত অথবা উটকো ঝামেলার ভেতর দিয়ে যেতে না হতো তাহলে নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং নতুন নীতিমালার কাজ আরো আগেই শুরু হতো। এখন সবকিছুই একসাথে চলবে। আমার হাতে সময় কম। কালক্ষেপণের সুযোগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালো চাইলে আস্থা রাখতে হবে। আমরা কী করছি সেটাই হবে আমাদের পরিচয়। সবার সদিচ্ছা এবং সহযোগিতা প্রয়োজন। আপনারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে যোগ্যতম প্রার্থীদের শিক্ষক হিসেবে দেখতে পাবেন, ইনশাল্লাহ।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ছয় বছর পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ভাইভা বোর্ডের মাধ্যমে এই কার্যক্রমের সূচনা হবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি। তবে এবারের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনো নতুন পরিবর্তন আসছে না। ২০২২ সালের নিয়োগ নীতিমালার ভিত্তিতেই নিয়োগ দেওয়া হবে।
এসএস
দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ নীতিমালা ঠিক নেই : রাবি উপাচার্য
11-02-2025 04:26PM
![](/static/image/upload/news/2025/02/11/13c52abed732766469b02ea4fea4590c_%E0%A7%AB.jpg?w=550&h=350)