ছাত্রদল কর্মীদের বিরুদ্ধে চবি শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ

  14-03-2025 12:01AM

পিএনএস ডেস্ক: তুচ্ছ ঘটনায় ছাত্রদলকর্মী ও বহিরাগতদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন আইইআর ভবন মাঠে এ মারধরের ঘটনা ঘটে।

প্রক্টর বরাবর দেওয়া অভিযোগপত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের আজারুল ইসলাম বিপ্লব, অর্ণব সরকার, চারুকলার ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের অঙ্কিতা বশাক, কনক কুমার চাকমা, মো. রাজিবুল হাসান রূপক, মো, নূর ইকবাল সানি, প্রকৃতি সাহা, জাকিয়া পারভিন ও অনন্যা আচার্য স্বাক্ষর করেন। অভিযোগপত্রে লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শাকিব ও আইন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের কাপিলসহ মোট ৭-৮ জন মিলে এ হামলা চালায় বলে জানান ভুক্তভোগীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন আইইআর ভবন মাঠে শাখা ছাত্রদলের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল চলছিল। হামলার নেতৃত্ব দানকারী শাকিবের গলায় ছাত্রদলের ইফতার মাহফিলের সেচ্ছাসেবক কার্ড ঝুলানো ছিল। এছাড়া হামলার কয়েকটি ফুটেজেও সাকিবের গলায় ছাত্রদলের কার্ড ঝুলতে দেখা গেছে।

ভুক্তভোগীরা অভিযোগপত্রে বলেন, আমরা পুরাতন আইইআর ভবন প্রাঙ্গণে ইফতার করার জন্য যাচ্ছিলাম। বাস্কেটবল গ্রাউন্ডের পাশ দিয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় একটা বাইক প্রচণ্ড জোরে আসে। আমাদের কারণে তাদের বাইক স্লো করতে হয়েছে। এজন্য তারা আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার ও মারমুখি আচরণ করে।

এর একটু পর আমরা যখন ইফতার করতে বসি, তখন তারা বহিরাগতসহ কয়েকটা বাইক নিয়ে আসে। আমাদের সঙ্গে কোনো কথাবার্তা না বলেই অতর্কিত হামলা করে। এ সময় তারা মেয়েদের গায়েও হাত তুলেছে। কয়েকজন নিরাপত্তা কর্মী ও আনসার কর্মী আশেপাশে থাকলেও তারা এগিয়ে আসেনি। উল্টো হামলাকারীদের চলে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।

ভুক্তভোগীরা আরও বলেন, হামলাকারীরা চলে যাওয়ার সময় আমাদের ছবি ও ভিডিও নেয় এবং যাওয়ার সময় দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। এমতাবস্থায় আমরা ক্যাম্পাসে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

ঘটনার বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দিন মহসিন বলেন, “আজ আমাদের অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এসেছিলেন। প্রোগ্রাম শেষে আমি তাকে নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। বাইরে কী হয়েছে সে ব্যাপারে খবর নিতে পারিনি।”

তিনি বলেন, “৫ আগস্ট পরবর্তী আমাদের কেউ এখন পর্যন্ত মব জাস্টিসের মতো ঘটনায় যুক্ত হননি। এরপরেও আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নেব। কারো বিরুদ্ধে যদি প্রমাণ পাই তাহলে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সাইদ বিন কামাল চৌধুরী বলেন, “আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ গ্রহণ করেছি। এ নিয়ে আমরা প্রক্টরিয়াল বডিতে আলোচনা করব। অপরাধীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

পিএনএস/রাশেদুল আলম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন