বিএনপি নেতাকে জোরপূর্বক আ.লীগে যোগ, সাবেক ওসির বিরুদ্ধে মামলা

  29-08-2024 10:54PM

পিএনএস ডেস্ক: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কেএম হাবিবুল হককে (সাব্বির) মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘটনায় শাহজাদপুর থানার সাবেক ওসি খাজা গোলাম কিবরিয়াসহ ৬ জনের নামে আদালতে পিটিশন মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- কৈজুরি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, শাহজাদপুর উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক আশিকুল হক দিনার, শাহজাদপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আলামিন, শাহজাদপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম শাহু ও শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ আব্দুস সালাম ব্যাপারী।

বৃহস্পতিবার দুপুরে শাহজাদপুর উপজেলার পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কেএম হাবিবুল হক (সাব্বির) বাদী হয়ে শাহজাদপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম রব্বানি মামলাটি আমলে নিয়ে শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জকে তদন্ত পূর্বক আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

বাদীর আইনজীবী মো. মেরাজ হোসেন রিংকু এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এ মামলার বাদী কেএম হাবিবুল হক সাব্বির এজাহারে উল্লেখ করেছেন যে, ২০১৮ সালের ১৪, ১৫, ২০ ডিসেম্বর ৩ দফায় আসামিরা তাকে বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদানের জন্য প্রাণনাশের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিলেন। এতে বাদী রাজি না হওয়ায় বাদীর বাড়ি ভাঙচুর করে তাকে থানায় তুলে নিয়ে যায় শাহজাদপুর থানার সাবেক ওসি খাজা গোলাম কিবরিয়া ও কৈজুরি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুলসহ অন্য আসামিরা।

এরপর হত্যার হুমকি দিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে অথবা আওয়ামী লীগে যোগদান করতে বলে। এতে বাদী রাজি না হওয়ায় তাকে সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম হাসিবুর রহমান স্বপনের বাসভবনে তুলে নিয়ে গিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে ও অস্ত্রের মুখে ১০০ টাকা মূল্যের ৩টি অলিখিত স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। পরে বাদীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করায়।

এ বিষয়ে বাদী কেএম হাবিবুল হক সাব্বির বলেন, ২০১৮ সালে ১৪ ডিসেম্বর গোলাম কিবরিয়ার নির্দেশে আমার বাড়ি ভাঙচুর করে আমাকে থানায় তুলে নিয়ে যায়। এরপর আওয়ামী লীগে যোগদান না করলে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও হত্যার হুমকি প্রদান করে। এরপর থেকে আমাকে বিভিন্নভাবে চাপে রাখে। গত ৫ আগস্ট দেশ আবারো স্বাধীন হওয়ায় আমিও স্বাধীন হয়েছি, তাই আমি ন্যায় বিচার পেতে আদালতে মামলা দায়ের করেছি।

এ বিষয়ে জানতে শাহজাদপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম শাহু ও শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধক্ষ আব্দুস সালাম ব্যাপারীর মোবাইল ফোনে কল করা হলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ওসি সবুজ রানা বলেন, এ মামলা সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র আমি হাতে পাইনি। ফলে এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।

পিএনএস/রাশেদুল আলম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন