চাঁদা দাবির অভিযোগে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা

  30-08-2024 12:02AM

পিএনএস ডেস্ক: চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে বরগুনার আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করা হয়েছে। মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারক আমতলী থানাকে এফআইআর গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সকালে মামলাটি দায়ের করেন চলাভাঙ্গা গ্রামের হুমায়ুন কবির মিল্টন নামে এক মুদি মনোহরি দোকানদার।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, আমতলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের চলাভাঙ্গা গ্রামের আ. ছত্তার মৃধার ছেলে হুমায়ুন কবির মিল্টন চলাভাঙ্গা গ্রামে নির্মাণাধীন পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সুইসিং স্টেশনে শ্রমিক সরবরাহ করে আসছেন এবং খুরিয়ার খেয়াঘাট এলাকায় তার একটি মুদি মনোহরি দোকান রয়েছে।

বুধবার সকালে আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. তুহিন মৃধার নেতৃত্বে ধারালো অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে ১৫-২৫টি মোটরসাইকেলযোগে ওই দোকানের সামনে গিয়ে তুহিন মৃধা তার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। হুমায়ুন কবির মিল্টন চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় আসামিরা তাকে ব্যাপক মারধর ও দোকান ভাঙচুর করে ৩ লাখ টাকার মালামাল লুট করে। এ সময় হামলাকারীরা ক্যাশ বাক্স ভেঙে নগদ ২ লাখ টাকাও নিয়ে যায়।

দোকান ভাঙচুর করে মালামাল ও নগদ টাকা লুট এবং ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে বৃহস্পতিবার সকালে আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হুমায়ুন কবির মিল্টন বাদী হয়ে বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা, আমতলী সদর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হিমু আকন, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আমিনুল আকন, উপজেলা যুবদলের ১নং সদস্য সামসু চৌকিদার ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মেহেদি হাসান রাকিবকে আসামি করে একটি মামলা করেন।

আদালতের বিচারক মো. আরিফুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে ৫ আসামির বিরুদ্ধে আমতলী থানাকে এফআইআর গ্রহণের নির্দেশ দেন।

মামলার বাদী হুমায়ুন কবির মিল্টন বলেন, তুহিন মৃধার নেতৃত্বে আসামিরা আমার কাছে বুধবার সকালে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় আমার দোকান ভাঙচুরসহ ৩ লাখ টাকার মালামাল এবং ২ লাখ নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

বিএনপির সদস্য সচিব মো. তুহিন মৃধা বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা একটি মামলা; বুধবারের ঘটনার সিসি ক্যামেরার এবং ভিডিও ফুটেজ চেক করলেই আসল রহস্য বের হয়ে আসবে। আমি কোনো চাঁদা দাবি, ঘর ভাঙচুর মালামাল এবং নগদ টাকা লুট কোনটিই করি নাই।
হাসিনা সরকার পতনের পর সাবেক সভাপতি জালাল ফকিরের নেতৃত্বে খুরিয়ার খেয়াঘাট এলাকায় চাঁদাবাজি চলছিল। আমি তা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি। এজন্য জালাল ফকির ক্ষিপ্ত হয়ে উলটো আমাদের ওপর হামলা করে এতে আমাদের কিছু লোক মারাত্মক আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

আর মামলা দায়ের করা মিল্টন আওয়ামী লীগের লোক। জালাল ফকির তাকে দিয়ে আমাকে হয়রানি করার জন্য এ মামলা করেছে।

উল্লেখ্য, খুরিয়ার খেয়াঘাট এলাকায় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ২৮ আগস্ট বুধবার দুপুরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের ৭ জন আহত হন।

আমতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমির হোসেন সেরনিয়াবাদ বলেন, আদালতের আজকের মামলার আদেশ আমরা এখনো হাতে পাইনি। হাতে পাওয়া গেলে নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পিএনএস/রাশেদুল আলম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন