কোটা আন্দোলন জিইয়ে রেখে দৃষ্টি সরানোর চেষ্টা চলছে: রাশেদ

  15-07-2024 06:05PM

পিএনএস ডেস্ক: কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠক মো. রাশেদ খান বলেছেন, সরকার আজীজ-বেনজীর-আসাদুজ্জামান-মতিউরদের দুর্নীতি, ভারতের সাথে রেলচুক্তিসহ সমসাময়িক নানান ইস্যু থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করছে। তাইতো পরিকল্পিতভাবে ২০১৮ সালের মীমাংসিত বিষয় সামনে আনছে সরকার। ২০১৮ সালে ১১ এপ্রিল জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেন, ‘আর কোনো কোটা থাকবে না, যেহেতু সংস্কার করলে আবার আন্দোলন হবে, তাই কোটা বাতিল করা হবে।’

সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে গণঅধিকার পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন-২০১৮ এর সংগঠকরা সংবাদ সম্মেলনের ডাক দেয়। সেখানে লিখিত বক্তব্যে রাশেদ এসব কথা বলেন।

রাশেদ বলেন, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন একটি সফল ছাত্র আন্দোলন। ওই বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া কোটা সংস্কার আন্দোলন ৮ এপ্রিলে থেকে জোরালো আন্দোলনে পরিণত হয়। আমরা সে সময়ে কোটা বাতিল নয় বরং কোটা সংস্কার চেয়েছিলাম। সে সময় ২ জুলাই সরকার তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে নবম থেকে ১৩তম গ্রেডে কোটা বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়।

রাশেদ বলেন, গত ৭ জুলাই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোটা বাতিল আন্দোলনের যৌক্তিকতা নেই। তাহলে তিনি কেন বাতিল করার কথা বলেছিলেন, শিক্ষার্থীরা তো বাতিল চায়নি।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ওপর ছাত্রলীগ হামলা করছে দাবি করে রাশেদ বলেন, শুনতে পাচ্ছি ইডেন কলেজের মেয়েরা আন্দোলনে রাস্তায় নামলে তাদের ওপর ছাত্রলীগের নারী ও পুরুষ কর্মীরা হামলা করছে।

রোববার (১৪ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যের মাধ্যমে ছাত্রলীগকে বেপরোয়া হবার নির্দেশনা দিয়েছেন। এ জন্য রোববার রাত থেকেই ছাত্রলীগ বেপরোয়া হয়ে গেছে। ইডেন কলেজ, ঢাকা কলেজসহ বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করেছে।

প্রতিরোধের ডাক দিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। আপনাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আপনারা যদি ছাত্রলীগের সামনে দাঁড়াতে না পারেন তাহলে আপনাদের ব্যর্থ করে দিতে পারে। ২০১৮ সালে আমরা যেভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলাম তাতে ছাত্রলীগ এক সময় পিছু হটতে বাধ্য হয়েছিল। আমরা আমাদের জায়গা থেকে সক্ষমতা অনুযায়ী পাশে থাকবো। আন্দোলনকারীদের যেন গ্রেফতার করতে না পারে সেজন্য যেভাবে পাশে থাকার দরকার আমরা সেভাবে পাশে থাকবো বলে জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলন থেকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার করার আহ্বান জানান সাবেক নেতারা।

এসএস

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন