পিএনএস ডেস্ক: নির্বাচন কমিশন (ইসি) নতুন ভোটারদের ভোটার হওয়ার সময় ফরমে কোনো ভুল-ভ্রান্তি থাকলে সেগুলো সংশোধন করতে কর্তৃপক্ষ নিয়োগ করেছে। এক্ষেত্রে সারাদেশে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে নতুন ভোটারদের দাবি, আপত্তি নিষ্পত্তিতে সংশোধন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করেছে ইসি।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব মো. মাহবুব আলম শাহ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে জানানো হয়, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে যেসব ভোটার ১ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে ভোটার হিসেবে যোগ্য হবেন, তাদের বিষয়ে ভোটার তালিকা বিধিমালা, ২০১২ এর বিধি ১৭ অনুসারে নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তাদের ভোটার এলাকা/অধিক্ষেত্রসমূহের খসড়া ভোটার তালিকার বিষয়ে নির্ধারিত ফরমে দাখিল করা দাবি (ফরম-৬), আপত্তি (ফরম-৭) ও সংশোধন (ফরম-৮) সংক্রান্ত আবেদন নিষ্পত্তি করার উদ্দেশ্যে সংশোধনকারী কর্তৃপক্ষ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
ইসি সংশ্লিষ্টরা জানায়, হালনাগাদ করা ভোটার তালিকার খসড়া আগামী ২ জানুয়ারি প্রকাশ করা হবে। এরপর ভুল-ভ্রান্তি বা কারো কোনো দাবি আপত্তি থাকলে ১৭ জানুয়ারির মধ্যে আবেদন জানাতে পারবেন। এরপর দাবি আপত্তিগুলোর নিষ্পত্তি করতে হবে ৩০ জানুয়ারির মধ্যে। আর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ২ মার্চ।
ভোটার হতে যেসব কাগজপত্র লাগবে
১. ১৭ ডিজিটের অনলাইন জন্মসনদের কপি
২. জাতীয়তা/নাগরিকত্ব সনদের কপি
৩. নিকট আত্মীয়ের (বাবা-মা, ভাই-বোন প্রভৃতি) এনআইডির ফটোকপি
৪. এসএসসি/দাখিল/সমমান অথবা অষ্টম শ্রেণি পাশের সনদের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
৫. ইউটিলিটি বিলের কপি (বিদ্যুৎ/গ্যাস/পানি/চৌকিদারি ট্যাক্স রশিদের ফটোকপি)
সস্প্রতি নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, প্রতি বছর ১ জানুয়ারি নিয়মানুযায়ী হালনাগাদ ভোটার তালিকা হয়ে থাকে। এ পর্যন্ত ১৭ লাখ তথ্য আমাদের হাতে আছে, যেটা ১ জানুয়ারি ২০২৫ সালে আমরা সন্নিবেশ করবো এবং তারা নতুন ভোটার হিসেবে তালিকায় যুক্ত হবেন। তবে পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে এই তথ্যটা পূর্ণাঙ্গ হয় না। কারণ অনেকেই অফিসে এসে নিবন্ধন সম্পন্ন করেন না। আনুমানিক ৪৫ লাখ হতে পারতো এই সংখ্যাটা। আমাদের হাতে যে ১৭ লাখ তথ্য আছে তার মধ্যে ১৩ লাখ আমরা ২০২২ সালে সংগ্রহ করেছিলাম। আর বাকি চার লাখ আমাদের বিভিন্ন অফিসে এসে এই বছরে নিবন্ধন করেছে। অর্থাৎ আমাদের ধারণা ২৭ থেকে ২৮ লাখ ভোটার, কম-বেশি হতে পারে, যারা কিন্তু ভোটার হওয়ার যোগ্য।
তিনি বলেন, যারা বাদ পড়লেন আমরা চাই তারা ভোটার তালিকায় যুক্ত হোক। এজন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের তথ্য সংগ্রহ করবো। এই বাদপড়া ভোটাররা ছাড়াও ২০২৫ সালে যারা ভোটার হবেন অর্থাৎ ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি যারা ভোটার হওয়ার যোগ্য হবেন তাদের তথ্যও আমরা বাড়িবাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করবো। আগামী বছর মার্চের পর থেকে এই কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।
সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী, দেশে ভোটার রয়েছে ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন।
পিএনএস /আনোয়ার
নতুন ভোটারদের আবেদন সংশোধনে কর্তৃপক্ষ নিয়োগ ইসির
30-12-2024 03:30PM