পিএনএস ডেস্ক: ফের জোরালো আলোচনায় আসছে গণপরিষদের মাধ্যমে নতুন সংবিধান ইস্যু। নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশের দিন থেকেই ‘গণপরিষদ নির্বাচন’-এর দাবি করে আসছে। দলটির নেতারা বলছেন, বারবার ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরতন্ত্র ফিরে আসা চিরতরে বন্ধ করা, সংবিধান পুনর্লিখন ও শাসন কাঠামোর আমূল পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন ‘গণপরিষদ’। সেই গণপরিষদ নতুন সংবিধান তৈরি করবে এবং সেই সংবিধানের অধীনে হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তবে সব পক্ষ চাইলে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণপরিষদ নির্বাচন একসঙ্গেও হতে পারে।
এনসিপি নেতাদের দাবি ও বক্তব্যের কঠোর বিরোধিতা করছে দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি। দলটির হাইকমান্ড মনে করছে, এই প্রক্রিয়ার ফলে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পিছিয়ে যাবে। তাই তারা সবার আগে চায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণপরিষদ নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষে-বিপক্ষে চলছে নানা বাহাস। এনসিপিসহ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এ বিষয়ে কথা বলেছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এনসিপির একটি প্রস্তাব হচ্ছে, ‘গণপরিষদ কাম জাতীয় সংসদ নির্বাচন’। একসঙ্গে দুই নির্বাচন হতে পারে বলে মনে করে দলটি। গত ৪ মার্চ জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের কবর জিয়ারতের পর রায়েরবাজারে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন সংবিধান প্রকৃত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণে সহায়তা করবে। গণপরিষদ নির্বাচন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন একসঙ্গে হতে পারে। এর মাধ্যমেই নতুন কাঠামো ও নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।’ এর আগেও পরে আরও কয়েকটি বক্তৃতায় তাকে একই প্রস্তাব তুলে ধরে বক্তব্য রাখতে দেখা যায়। এনসিপির অন্য নেতারাও এ বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলছেন।
এমন প্রেক্ষাপটে গত শনিবার রাজধানীতে একটি ইফতার মাহফিলে অংশ নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের কথা পরিষ্কার, এখানে (একসঙ্গে গণপরিষদ ও সংসদ নির্বাচন) কোনো জাতীয় ঐক্য, এ বিষয়ে হয়তো হবে না, একটি মেজর পলিটিক্যাল পার্টির সদস্য হিসেবে আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পারি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনই হবে সবচেয়ে জরুরি এবং আমাদের অগ্রাধিকার।’
নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনৈতিক ঐকমত্য হলে, নির্বাচিত কিংবা অনির্বাচিত—দুই প্রক্রিয়াতেই ‘গণপরিষদ’ গঠন করা যায়। গণপরিষদ নির্বাচনের নির্বাচিতরা তাদের কাজের জন্য ৬ মাস বা এক বছর একটা নির্দিষ্ট সময় পাবেন। গণপরিষদের আকার হতে পারে মোট ৫০০ থেকে ৫৫০ সদস্যবিশিষ্ট। এ ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে ৩০০ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, সরাসরি ভোটে নির্বাচিত ১০০ নারী সদস্য, রাজনৈতিক দলগুলো প্রদত্ত ভোটের সমানুপাতিক হারে ১০০ জন এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে আরও ২৫ থেকে ৩০ সদস্য। এ ছাড়া অন্য কাঠামোও থাকতে পারে।
জানা গেছে, বিএনপির কঠোর বিরোধিতার পরও নতুন সংবিধান প্রণয়নের জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের দাবিতে অটল অবস্থানে আছে এনসিপি। দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘বিদ্যমান সংবিধানের অধীন গঠিত পরবর্তী নির্বাচিত সরকার মূলত ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থারই ধারাবাহিকতা বা তল্পিবাহকই হবে। গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে গৃহীত এবং গণভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত সংবিধানের অধীন পরবর্তী নির্বাচন হতে হবে। অর্থাৎ ওই নির্বাচিত সরকারের কাছে সংবিধান সংস্কারের ম্যান্ডেট রয়েছে, পদ্ধতিগত বাস্তবতা এমন ধারণার ঠিক উল্টো। পরবর্তী নির্বাচিত সরকারকেই বরং নতুন সংবিধানের কাছ থেকে আইন প্রণয়নের ম্যান্ডেট অর্পণ করতে হবে। তবে সংবিধান প্রণয়নের পর ওই গণপরিষদই আইনসভায় রূপ নেবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নিরঙ্কুশ ক্ষমতাসহ বিদ্যমান সংবিধানের মূল ক্ষমতা কাঠামোর পরিবর্তন করা ছাড়া জনআকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। আর এই পরিবর্তন বর্তমান সংবিধানের অধীনে পরবর্তী সংসদের মাধ্যমে করা সম্ভব হবে না। বিদ্যমান সংবিধানের অধীনে করা নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সংসদে গিয়ে সংবিধান পরিবর্তন করাও অসম্ভব। সেজন্যই গণপরিষদ নির্বাচন চায় এনসিপি। এ নির্বাচনও এক ধরনের জাতীয় নির্বাচন, এটি জাতীয় নির্বাচন পেছানোর কোনো পাঁয়তারা নয়। বরং জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার অংশ।’
এনসিপির নেতারা বলছেন, গণপরিষদ ও সংসদ নির্বাচন একসঙ্গেও হতে পারে আবার বিকল্পও রয়েছে। সরাসরি ভোটে নির্বাচিতরা প্রথমে গণপরিষদ গঠন করতে পারে, তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একটি সংবিধান তৈরি করবে। সেটি ‘জুলাই চার্টার’ দলিলের ভিত্তিতে হতে পারে। নতুন প্রণীত সংবিধান গণভোটের মাধ্যমে জনগণের অনুমোদন নিয়ে নিতে হবে। এরপর ওই গণপরিষদই বাকি সময় সংসদ হিসেবে ক্রিয়াশীল থাকতে পারে। এ ক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল সরকার পরিচালনা করবে। আবার গণপরিষদ ও আইনসভা একই সঙ্গে ক্রিয়াশীল থাকতে পারে, সেটি নিয়েও আলোচনা-আলোচনা হতে পারে।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘আমরা গণপরিষদ নির্বাচন এ কারণে চাচ্ছি যে, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার পতন ঘটলেও ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা রয়ে গেছে। এ ব্যবস্থা যতদিন পর্যন্ত আছে, ততদিন সরকারে থেকে কাজ করা কঠিন হবে। এটি রাজনৈতিক দলগুলোর জন্যও ভালো। আর কেউ যদি সংবিধানের পরিবর্তনটা না করে ক্ষমতায় যায়; তারা আবারও স্বৈরাচার হয়ে উঠবে এবং অভ্যুত্থানের মুখোমুখি হবে।’ তিনি আরও বলেন, পরবর্তী সময়ে কারা নেতৃত্ব দেবে আমরা জানি না। এ কারণে তাদেরই উচিত এই প্রক্রিয়ায় রাজি হওয়া। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা থেকে গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়ার যে প্রক্রিয়া, তারও সঠিব পদ্ধতি হচ্ছে এটা।’
গণপরিষদ নির্বাচনে দেশের বেনিফিট কী—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পরপর তিনটা সুষ্ঠু নির্বাচনের উদাহরণ নেই। দুইটা আছে। ১৯৯৬ সালে একটা, অন্যটা ২০০১ সালে। কিন্তু পরপর তিনটা সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো রেকর্ড নেই। এজন্য এটা আমরা চাচ্ছি। এটাতে বাংলাদেশের মানুষ উপকৃত হবে, দেশ গণতান্ত্রিক ভিত্তি মজবুত হবে, নাগরিক অধিকার রক্ষিত হবে এবং মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করা যাবে। রাষ্ট্রের উপকার আসলে এগুলোই হবে।’
বিএনপির বিরোধিতার বিষয়ে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘বিএনপি এটাতে ভয় পাচ্ছে, কারণ প্রকৃতপক্ষে বিএনপি ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা পরিবর্তনের বিষয়ে আন্তরিক না। বিএনপি ঘোষিত যে ৩১ দফা, তার অধিকাংশই বর্তমান সময়ের উপযোগী নয়। এগুলো তৈরি করা হয়েছিল আওয়ামী লীগ আমলে। কিন্তু এখন প্রেক্ষাপট অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। আপনাকে দফাগুলোতে পরিবর্তন আনতে হবে।
এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের চাওয়া রাষ্ট্র কাঠামোয় আমূল পরিবর্তন। বিদ্যমান রিপাবলিক আমাদের নাগরিক অধিকার ও মর্যাদা সুনিশ্চিত করতে পারে নাই। তাই আমরা নতুন রিপাবলিকের কথা বলছি। সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রকাঠামোয় আমূল পরিবর্তন আনতে হলে গণপরিষদের মাধ্যমে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে। গণপরিষদ নির্বাচন কোনো নতুন আইডিয়া না। গণপরিষদ হচ্ছে নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে নতুন সংবিধান প্রণয়ন হতে পারে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতেও কিন্তু নতুন সংবিধান প্রণয়নের লক্ষ্যে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।’
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ করে সিফাত বলেন, ‘যারা বলছেন আমরা ছলেবলে নির্বাচন পেছাতে চাচ্ছি, তাদের বক্তব্য সঠিক নয়। যাদের কাছে নির্বাচনই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ, তাদের গণপরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে অসুবিধা কোথায়? নাকি তারা পূর্বতন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ও কাঠামোকে টিকিয়ে রাখতে বদ্ধপরিকর? আমরা চাই, এমন সংবিধান ও রাজনৈতিক সংস্কৃতি, যাকে কেন্দ্র করে কোনো বাকশাল, স্বৈরতন্ত্র কিংবা ফ্যাসিবাদ তার আপাত বৈধতাও আদায় করতে পারবে না।’
দলটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, ‘গণপরিষদ নির্বাচন দাবি করে আমরা জাতীয় নির্বাচন পেছাতে চেয়েছি—এমন ধারণা সঠিক নয়। আমাদের দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এরই মধ্যে বলেছেন, গণপরিষদ নির্বাচন এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচন একসঙ্গেও হতে পারে। এটার জন্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনই পেছাতে হবে না। সরকার প্রস্তুতি নিলে দুটি নির্বাচনই একসঙ্গে পরবর্তী ডিসেম্বরে বা জুন মাসে অথবা সরকার যখন চাইবে, তখনই করা সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে এ বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করতে দেখছি বিএনপিকে। এর কারণ হিসেবে আমার মনে হয়, তাদের দীর্ঘদিনের যে রাজনৈতিক চর্চা, সেটি প্রভাবক হিসেবে কাজ করে থাকতে পারে। কারণ তারা শুধু রাজনৈতিক ক্ষমতার পরিবর্তন চায়, দেশের মধ্যে যে কাঠামো বিদ্যমান আছে, সেটার পরিবর্তন চায় না। যেহেতু তারা শুরু থেকে সংবিধান পরিবর্তন ও রাষ্ট্রপতি পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোর বিরোধিতা করে আসছিল; সে ক্ষেত্রে এমনটাও হতে পারে যে, তারা এই সংবিধান পরিবর্তনের বিষয়টিকে তাদের রাজনৈতিক পরাজয়ের অংশ হিসেবে মনে করতে পারে।
গণপরিষদ নির্বাচন হলে এনসিপির বেনিফিট কী? এমন প্রশ্নের জবাবে এনসিপির একাধিক নেতা বলেন, ‘আমাদের ক্ষেত্রে এখানে কোনো বেনিফিট নেই। আমরা সবচেয়ে নবীন দল। পুরা নির্বাচনে আমরা যে খুব ভালো করব, এখন সেটা বলতে পারছি না। আমাদের এটা পরিষ্কার করতে হবে। এটি একটি জাতীয় ইস্যু। এটা একটা জাতির জন্য প্রয়োজন। আমরা সেই জাতীয় প্রয়োজনের বিষয়টি মাথায় রেখে এ কথা বলছি। এটাতে যা আমরা খুব একটা সুবিধা পাব, বিষয়টি তেমন নয়। প্রশ্নটা কিন্তু খুবই সিম্পল। বিএনপি যদি সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়, তবে গণপরিষদে পাবে না কেন। একই তো জিনিস। এমন তো নয় যে, গণপরিষদে আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাব আর বিএনপি জাতীয় সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। মানে তারা যে বলছে, এটা একটা নির্বাচনকে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র—এটা ভুল কথা; বরং এই প্রক্রিয়ায় না গিয়ে যদি শুধু সংসদ নির্বাচন হয়, তাহলে এটা হবে একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে পিছিয়ে দেওয়া।
এনসিপি বাংলাদেশের শাসন-কাঠামোর গুণগত ও মৌলিক পরিবর্তন চায়। তাই আমরা একটি নতুন সংবিধানের মাধ্যমে একটি নতুন রিপাবলিকের কথা বলছি—উল্লেখ করে এনসিপি আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘সামনের নির্বাচনে একই সঙ্গে আইনসভা ও গণপরিষদ নির্বাচন সম্ভব। এতে একদিকে নতুন সংবিধান কায়েম হবে, অন্যদিকে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় নতুন পথের উত্তরণ ঘটবে।’ সরকার সংস্কার ও নির্বাচনের জন্য যে সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে, সেই সময়ের মধ্যেই এসব কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব বলে জানান তিনি।
এনসিপি গণপরিষদ নির্বাচনের দাবির বিষয়টি উল্লেখ করে গত সোমবার সংসদ ভবনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেন, ‘এনসিপির বাইরেও অনেক রাজনৈতিক শক্তি ও দল অতীতেও গণপরিষদের কথা বলেছেন। কেবল ৫ আগস্ট-পরবর্তী নয়, বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে যারা সংবিধান নিয়ে আলোচনা করে, রাষ্ট্র সংস্কারের কথা বলে, তারা গণপরিষদের মাধ্যমে নতুন সংবিধানের কথা বলেছেন। আমরা রাজনৈতিক দলের কাছে প্রস্তাবগুলো উপস্থাপন করেছি, তারা মতামত দিক, তারপর আমরা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেব। গণপরিষদ ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন একসঙ্গে করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে জাতীয় সংসদও গণপরিষদের ভূমিকা পালন করতে পারে।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সেমিনারে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘আগামী ২০২৫ অথবা ২০২৬ সালের নির্বাচনে নির্বাচিতরা সংসদ সদস্য, আবার গণপরিষদ সদস্য দুটোই হতে পারেন। ধরা যাক, সপ্তাহে চার দিন সংসদ সদস্য হিসেবে সংসদের কাজগুলো করব, বাহাত্তরের সংবিধানের যে পরিবর্তন দরকার, সেগুলো করে ফেলব। আর নতুন সংবিধান প্রণয়নের জন্য আমরা সপ্তাহে দুদিন গণপরিষদে বসব বা সাত দিনই সাংসদ (সংসদ সদস্য) হিসেবে বসা হলো, সন্ধ্যার পরে তিন ঘণ্টা গণপরিষদ সদস্য হিসেবে বসব। এগুলো গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি। নেপালে কিছুদিন আগে তাই হয়েছে।’
পিএনএস/আনোয়ার
সংবিধান পাল্টাতে গণপরিষদ চায় এনসিপি
15-03-2025 09:32AM
