বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে জামায়াতের ইফতার

  16-03-2025 12:16AM

পিএনএস ডেস্ক: বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর ইফতার মাহফিলে দেশের বিভিন্ন দলের নেতাকর্মী, ছাত্রসংগঠনের নেতা, পেশাজীবী, শিক্ষাবিদ, কবি-সাহিত্যিক, ডাক্তার, সাংবাদিক, গবেষক, ব্যবসায়ী ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ অংশ নিয়েছেন।

শনিবার (১৫ মার্চ) বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে দলটি। সম্মেলন কেন্দ্রের দুই ফ্লোরেই বিশাল এই আয়োজন করে দলটি। এতে জামায়াতের কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন জেলার গুরুত্বপূর্ণ নেতারাও অংশ নেন।

ইফতারের পূর্বমুহূর্তে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, স্বাধীনতার দীর্ঘ ৫৪ বছর কেটে গেছে, বহুবার ক্ষমতার হাত বদল হয়েছে, যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা দেশ স্বাধীন করেছিলাম তা আজ পূরণ হয়নি। কেন তা পূরণ হয়নি তা বিশ্লেষণের অবকাশ নেই। আমাদের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি মেলাতে পারছি না। যারাই ক্ষমতায় গেছে, তারাই নিজেদের ভাগ্য গড়েছে। দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। স্বাধীনতার পর থেকে এ দেশে অস্থিরতা চলে আসছে।

তিনি আরও বলেন, জামায়াতের শীর্ষ পাঁচ নেতাকে বিচারের নামে প্রহসন করে হত্যা করা হয়েছে। আরও ছয়জন নেতাকে কারাগারে বন্দি রেখে বিনাচিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করতে বাধ্য করেছে।

জামায়াত আমির বলেন, ৫ আগস্টের পর জাতি মুক্তি পেয়েছে। জেলখানা থেকে অনেকেই মুক্তি পেয়েছেন। কিন্তু আমাদের প্রিয় নেতা আজহার ভাই মিথ্যা মামলায় এখনো জেলখানায় অমানবিক যন্ত্রণা ভোগ করছেন। অবিলম্বে তাকে মুক্তি দেওয়া হোক। আর যেন আইনের মারপ্যাঁচে তাকে বন্দি করে রাখা না হয়। আমাদের আজহারুল ইসলাম ভাইকে অবিলম্বে আমাদের মাঝে যেন ফিরিয়ে দেওয়া হয়, এই কামনা করি।

এ ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, বিএনপি নেতা সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিবী, খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুনির হোসাইন কাসেমী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমদ, কৃষক শ্রমিক জনতা পার্টির সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের নেতা মাওলানা মুনতাসিম বিল্লাহ মাদানী, জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ, জাগপার চেয়ারম্যান রাশেদ প্রধান, ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গণি, লেবার পার্টির সভাপতি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক আন্দোলনের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, এনপিপির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ফরহাদুজ্জামান ফরহাদ, নেজামি ইসলাম পার্টির আমির সারোয়ার কামাল আজিজি, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আবু হানিফ, মসলিম জনতা ঐক্য পরিষদের আমির আজিজুল হক আজিজ হবিগঞ্জী, হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুসাবিন ইজহার, ইসলামী কানুন বাস্তবায়ন কমিটির আমির মাওলানা আবু তাহের জিহাদী, ইসলামী কানুন বাস্তবায়ন পরিষদের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ আশরাফী, মাওলানা শায়েখ কামাল উদ্দীন জাফরী, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ মাদানী, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব অধ্যাপক ড. আহমদ আব্দুল কাদের, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা আবু জাফর কাসেমী, মহাসচিব মুফতি ফখরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের নেতা অধ্যাপক মাওলানা আশরাফ আলি আকন, বাংলাদেশ আইম্মা পরিষদের মহাসচিব মাওলানা এনামুল হক মুসা, পীরজাদা মাওলানা নেসারুল হক, ইসলামী ঐক্যজোট একাংশের চেয়ারম্যান মুফতি ইজহারুল হক, জনসেবা আন্দোলনের মহাসচিব মুফতি ইয়ামিন, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মুফতি মাওলানা কাজী ইব্রাহিম, বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাওলানা মুফাজ্জল হোসেন খান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মাওলানা তাওহিদুল আনোয়ার, শরীয়াহ সুপারভাইজার কমিটির চেয়ারম্যান মুফতি সাঈদ আহমাদ মোজাদ্দেদী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কাজী হারুন, ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান খোরশেদুল হক ও পরিচালক আবদুল জলিল, বিশিষ্ট সাংবাদিক দৈনিক সংগ্রামের সাবেক সম্পাদক আবুল আসাদ, দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক মীর শাহীদুল হক আজম, মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক বাহাউদ্দিন, দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদক আবদুল হাই সিকদার, দি নিউ নেশন পত্রিকার সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, দৈনিক নয়াদিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন ও নির্বাহী সম্পাদক মাসুমুর রহমান খলিলী, কালবেলা পত্রিকার সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, সাপ্তাহিক সোনার বাংলার বার্তা সম্পাদক ফিরদাউস আলম ভূঁইয়া ও চিফ রিপোর্টার শাহাদাত হোসাইন হারুন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম, ও সাবেক সভাপতি সরদার ফরিদ, দৈনিক সংগ্রামের বার্তা সম্পাদক শাহাদাত হোসাইন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের অতিরিক্ত চিফ প্রসিকিউটর মিজানুর রহমান, সাবেক সচিব ড. মিয়া মুহাম্মাদ আইয়ুব, সাবেক সচিব ফজলুর রহমান, কর্নেল আইয়ুবুর রহমান, পেট্রোবাংলার এমডি কামারুজ্জামান, কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল হক, ইবনে সিনা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু নাসের মুহাম্মাদ আব্দুজ্জাহের, কৃষিবিদ কামাল উদ্দিন, বারির সাবেক মহাসচিব কৃষিবিদ ড. শহিদুল ইসলাম, বিএলআরআইয়ের সাবেক পরিচালক ড. মুহাম্মাদ জাহাঙ্গীর আলম, বিজেডিএসের সাবেক ডিজি ড. আবদুল জব্বার, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এমএ হান্নান ও কৃষিবিদ সমিতির সভাপতি আসাদুজ্জামান রিন্টু।

এ ইফতার মাহফিলে জামায়াত নেতাকর্মীদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এবং নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি মাওলানা আনম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, সাবেক এমপি হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আবদুল হালিম, অ্যাডভোকেট মোয়ায্যম হোসাইন হেলাল ও অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব যোবায়ের, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়ার বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য আব্দুর রব, সাইফুল আলম খান মিলন ও মুবারক হোসাইন, জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মুহাম্মাদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার, অ্যাডভোকেট মশিউল আলম, ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, চট্টগ্রাম মহানগরীর আমির সাবেক এমপি শাজাহান চৌধুরী, গাজীপুর মহানগরী আমির অধ্যাপক মো. জামাল উদ্দিন, কুমিল্লা মহানগরীর আমির কাজী দ্বীন মুহাম্মাদ, ঢাকা দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, কেন্দ্রীয় অফিস সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুস সাত্তার ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।

শহীদ আবু সাঈদের দুই ভাই রমজান আলী ও আলী হোসেন এবং জামায়াত-শিবিরের শহীদ ও মাজলুম নেতাদের পরিবারের সদস্যগণ এবং ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের বেশ কয়েকটি শহীদ পরিবারের সদস্যরা ইফতার মাহফিলে অংশ নেন।

পিএনএস/রাশেদুল আলম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন