পিএনএস ডেস্ক: দুই মাসব্যাপী চলা জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টের পর্দা নামলো আজ। রোববার মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে রংপুর ও সিলেটের মধ্যকার ফাইনালের মধ্য দিয়ে শেষ হলো এই টুর্নামেন্ট। আর এই ফাইনাল দেখতে রাতে মাঠে এসেছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেখানে সাকিব আল হাসানের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়েছিল বিএনপির মহাসচিবের কাছে।
সাবিকের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা নিয়ে মির্জা ফখরুলের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে ঠিক মন্তব্য করতে চাই না, এটা আমার সাবজেক্ট নয়।
কোনো খেলোয়াড়ের অবসর না নেওয়া পর্যন্ত রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়া উচিত না বলে মন্তব্য করেন ফখরুল। এতে খেলা এবং রাজনীতির মধ্যে একটা দ্বন্দ্ব তৈরি হতে পারে। তবে ক্যারিয়ার শেষে যেকেউ চাইলে রাজনীতি করতে পারে বলে মনে করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যে খেলাধুলার সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক থাকা উচিত না। এবং যেটা চলমান অবস্থাতেও না। ভবিষ্যতে যারা খেলা ছেড়ে দেবেন তারা রাজনীতি করতে পারেন, এটা তাদের অধিকার। তবে এটা ব্যক্তিগত ব্যাপার আমি মনে করি। এবং এই অধিকার মানুষের সকলেরই থাকা উচিত।
দীর্ঘ সময় পর ক্রিকেট বোর্ডে এসেছেন মির্জা ফখরুল। কত দিন পর এলেন, তিনি নিজেও মনে করতে পারেননি, বহুদিন পর এলাম। আমার ঠিক মনেও নেই। ১৯৯১ সালে বোর্ড সদস্য হয়েছিলাম।
গত ৫ মাসে যা হয়েছে, এ রকম কঠিন সময় আগে কখনো পার করেননি সাকিব আল হাসান। গত বছরের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে তার সংসদ সদস্যের (এমপি) পদ বাতিল হয়ে যায়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের কয়েক দিনের মধ্যেই পোশাকশ্রমিক রুবেল হত্যা মামলায় যুক্ত হয় সাকিবের নামও। এরপর প্রতিটা মাসই তার জন্য ঘটনাবহুল। সেপ্টেম্বরে পুঁজিবাজার কারসাজিতে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা হয় তার বিরুদ্ধে।
আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেটে বোলিং নিষিদ্ধ হয়েছেন সাকিব। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল থেকে বাদ পড়েছেন। এবার তার নামে জারি হয়েছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও।
এএ
সাকিবের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়ে যা বললেন মির্জা ফখরুল
20-01-2025 12:59AM