‘শীর্ষ সন্ত্রাসী মীরু পথেই লিখন দরবেশ সাজতে পুলিশের বিরুদ্ধে অবস্থান’ শিরোনামে গত ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত অগ্রবাণী প্রতিদিন নামের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এছাড়াও মনগড়া ও রংচটা শিরোনামে হুবহু কপি-পেস্ট সংবাদ প্রকাশ করেছে সোজা সাপটা, সংবাদ চর্চা ও দৈনিক সময়ের নারায়ণগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি পত্রিকা।
এটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত বানোয়াট সংবাদ উল্লেখ করে উক্ত সংবাদে প্রতিবাদ জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুরেরে যুবদল নেতা মাকসুদুল ইসলাম লিখন।
পিএনএন নিউজকে পাঠানো এক প্রতিবাদ লিপিতে লিখন বলেন, আমাকে জড়িয়ে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভুয়া, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এসব ভিত্তিহীন সংবাদ সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। এতে আমার ও আমার পরিবারের সম্মানহানি হচ্ছে। কাল্পনিক রং মাখিয়ে লেখা দুরভিসন্ধিমূলক এই সংবাদের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। এসব ষড়যন্ত্রমূলক সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
পুলিশকে বাঁচাতে আমার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের পুরোটাই মিথ্যা ও মনগড়া উল্লেখ করে প্রতিবাদ লিপিতে তিনি বলেন, বিএনপির রাজনীতি যুক্ত থাকায় আওয়ামী নেতাদের চোখের বাঁকা দৃষ্টি পরে আমার উপর। তাদের সঙ্গে ষড়যন্ত্রে যুক্ত হয়ে ২০১৮ সালে কথিত ক্রসফায়ায়ের গল্প সাজিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে আমাকে পঙ্গু করে দেয় তৎকালীন স্বৈরাচার আওয়ামী মদদপুষ্ট কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা। দীর্ঘ অপেক্ষার অবসানে সম্প্রতি স্বৈরাচারমুক্ত নতুন বাংলাদেশে আমার সাথে ঘটে যাওয়া অবিচারের বিচার চেয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করি। এরপর টনক নড়ে নানা অপকর্মে জড়িত সেসব পুলিশ কর্মকর্তাদের। তারা আমাকে মামলায় না যেতে প্রথমে ভয়ভীতি দেখায় এবং এক পর্যায়ে অর্থের বিনিময়ে মীমাংসার লোভনীয় প্রস্তাব দেয়। আমি তা গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করায় আমাকে হেয় করতেই তাদের এই প্রয়াস। যা অগ্রবাণী প্রতিদিন নামের পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের শিরোনামে (...‘পুলিশের বিরুদ্ধে অবস্থান’) কথাতে দৃশ্যমান তারা সেসব পুলিশের প্রতিনিধি।
প্রতিবাদ লিপিতে লিখন আরও বলেন, আওয়ামী দোসর সেসব পুলিশের হয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম এখনো প্রকাশ্যে কাজ করছে বলে আমি খুবই উদ্বিগ্ন। দায়িত্বশীল কোন সংবাদমাধ্যম অন্যের প্ররোচনায় প্রভাবিত হয়ে কিংবা যে কোন কিছুর বিনিময়ে মিথ্যা তথা বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করবে এটা কারোই প্রত্যাশিত নয়। সুতরাং বিস্তারিত সত্য ও সঠিক তথ্য জেনে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের আহ্বান জানাই।
এ বিষয়ে কথা বলতে সোজা সাপটা পত্রিকার সংবলিত নম্বরে ফোন করেছেন জানিয়ে প্রতিবাদ লিপিতে লিখন বলেন, সোজা সাপটা পত্রিকার সম্পাদক আমাকে আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলার পরামর্শ দিয়ে বলেন ‘পারলে কিছু করে দেখান’। এছাড়াও বাকি পত্রিকাগুলোর কেউ ফোন ধরেনি আবার কারও ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে বলে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
মিথ্যা সংবাদ প্রকাশে লিখনের প্রতিবাদ
20-01-2025 03:41AM