আমদানির খবরেরই ধ্বস নামতে শুরু করেছে পেঁয়াজের বাজার

  30-11-2017 12:35PM

পিএনএস ডেস্ক: তুরস্ক থেকে আমদানির খবরের প্রথম দিনেই ধ্বস নেমেছে পেঁয়াজের বাজারে। গত তিন দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে আজকেই কমেছে পেঁয়াজের দাম।

জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৩০ টাকা কমেছে। মাত্র তিন দিন আগে শিবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ৯০ টাকা।

চলতি মাসে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে এক হাজার ১৫৫ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হলেও ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে পেঁয়াজের বাজারে দেখা দেয় অস্থিরতা।

তুরস্ক থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আসছে, এই সংবাদ বিভিন্ন প্রিন্টিং ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশের পরই পেঁয়াজের বাজারে প্রতি কেজি ৯০ টাকার স্থলে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে।

এদিকে ক্রমান্বয়ে দাম বৃদ্ধি পেয়ে কেজিপ্রতি ৯০ টাকায় বেচাকেনা শুরু হয়। তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণার পর পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাথায় হাত পড়েছে। আর বাজারে কমতে শুরু করেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পেঁয়াজের দাম। আর স্বস্তি ফিরেছে বাজারে আসা পেঁয়াজ ভোক্তাদের।

দেশে বার্ষিক পেঁয়াজের চাহিদা ২০ থেকে ২২ লাখ টন। আর দেশে উৎপাদন হচ্ছে ১০ থেকে ১২ লাখ টন। ঘাটতি আছে প্রায় ১০লাখ ১০ হাজার টন ।এ ঘাটতি থাকায় বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বাড়ছে। দেশের এই ঘাটতি পূরণ করতে ও বাজার স্থিতিশীল করতে তুরস্ক থেকে প্রাথমিকভাবে প্রায় ১০ হাজার টন পেয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় এস আলম গ্রুপ।

অপরদিকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে ১৮ লাখ ৬৬ হাজার টন, যা আগের বছরের চেয়ে ১ লাখ ৩১ হাজার টন বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, আলোচ্য সময়ে দেশে ১০ লাখ ৪১ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে, যা আগের বছরের চেয়ে ৩ লাখ ৪০ হাজার টন বেশি। সব মিলিয়ে গত অর্থবছরে পেঁয়াজের জোগান এসেছে ২৯ লাখ টন।

বিবিএসের ২০১৪ সালের এক জরিপ অনুযায়ী, এক কেজি পেঁয়াজ উৎপাদনে গড়ে ১১ টাকা ৪৪ পয়সা খরচ হয়। দেশের অনেক চাষি ঘরের মাচায় পেঁয়াজ রেখে দেন, যা মৌসুম শেষে বিক্রি করেন। অনেক ফড়িয়া ব্যবসায়ীও পেঁয়াজ কিনে রাখেন লাভের আশায়।

দেশে পেঁয়াজের চাহিদা ২২ লাখ টন বলে ধরে নেওয়া হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে, গত বছর দেশে পেঁয়াজ উত্পাদিত হয়েছে ১৮ লাখ টন। বাকি চার লাখ টনের বেশি ঘাটতি মেটানো হয় আমদানি করে। এই ঘাটতির প্রায় পুরোটাই ভারত থেকে আমদানি করে মেটানো হয়। আর এই চার লাখ টনের কথা বলে মাঝেমধ্যে পুরো বাজার অস্থিতিশীল করে তোলে অসাধু ব্যবসায়ীরা।

পিএনএস/কামাল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন