ফের জিএসপি বঞ্চিত বাংলাদেশ

  28-12-2017 03:56PM

পিএনএস ডেস্ক:যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আবারো অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধা (জিএসপি) বঞ্চিত হলো বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে বাণিজ্য অগ্রাধিকার বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন নতুন শর্ত কার্যকর করায় এই সুবিধা আপাতত পাচ্ছে না দেশের ব্যবসায়ীরা।

২০১৩ সালের এপ্রিলে রানা প্লাজার ভবন ধসের পর জুন মাসে বাংলাদেশের জন্য জিএসপি সুবিধা বাতিল করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। শ্রমিক অধিকার না থাকা ও অনিরাপদ কর্মপরিবেশের কারণ দেখিয়ে তখন এই সুবিধা বাতিল করা হয়।

জিএসপি ফিরে পেতে বাংলাদেশকে ১৬টি শর্ত দিয়েছিল তৎকালীন ওবামা প্রশাসন। সেসব শর্ত পূরণ করে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি সংস্থায় (ইউএসটিআর) দুইবার আবেদন করা হয়। তবে শ্রমিক অধিকারে সন্তুষ্ট না হওয়ায় প্রতিবারই ওই আবেদন আটকে দেয়া হয়।

তাছাড়া বাণিজ্য সুবিধা বিষয়ে ২০১৭ সালে কিছু দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়ার পরও চলতি বছরের পর্যালোচনায় বাংলাদেশ জিএসপি বঞ্চিত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে আসার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি।

আগামী জানুয়ারির প্রথম দিন থেকে আর্জেন্টিনার জন্যও জিএসপি বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আবার বিশেষ আইনের ধারায় গাম্বিয়া ও সোয়াজিল্যান্ডকে দেয়া হয়েছে এই সুবিধা।

এ বিষয়ে গত ২২ ডিসেম্বর মার্কিন বাণিজ্য বিষয়ক দূত রবার্ট ই লাইটিজারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছেন যে মার্কিন বাজারে বাণিজ্য সুবিধা পেতে হলে সঠিকভাবে নির্দিষ্ট মান অর্জন করতে হবে। সুবিধাপ্রাপ্ত দেশগুলোকে হয় ইউএসটিআরের সঙ্গে কাজ করতে হবে, নয়তো সুবিধা বঞ্চিত থাকতে হবে।’

এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, ‘মার্কিন সরকার বাংলাদেশকে নতুন নতুন শর্ত দিচ্ছে। ফলে দেশটির বাজারে জিএসপি সুবিধা ফিরে পাবো, এমন আশা আমরা করছি না।’

তিনি আরো জানান, ১৬টি শর্ত পূরণের পরও রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র শ্রম আইন সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে, যা ইপিজেড আইনের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। কর্মপরিবেশের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রফতানি বাজার। স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ৯৭ শতাংশ পণ্যই মার্কিন বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে বলে ২০০৫ সালে হংকংয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মন্ত্রী পর্যায়ের এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়।

কিন্তু তৈরি পোশাক থেকে যায় এর বাইরে। অথচ চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি করা পণ্যের মধ্যে ৯৫ শতাংশই তৈরি পোশাক।

পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন