শেয়ারবাজারে ১৫ হাজার কোটি টাকা উধাও

  26-02-2018 01:59PM

পিএনএস ডেস্ক:একদিকে তারল্য সংকট, অন্যদিকে ডিএসইর মালিকানা বিক্রিতে চীন ও ভারত নিয়ে টানাপোড়েন। এর মধ্যেই কাবু হচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার। সাম্প্রতিক পতনের ধারায় এই দুই কারণকেই বড় করে দেখছেন বাজার বিশ্লেষকরা। তবে তার মধ্যেও বিপরীতে হাঁটছে কিছু কোম্পানির শেয়ার। শুধু তাই নয়, যেটা বাড়ছে তাও আবার অস্বাভাবিক।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গেলো সপ্তাহজুড়ে দরপতন ও লেনদেন তলানির দিকে নেমেছে। তবে এমবি ফার্মা, লিবরা ইনফিউশন ও কে অ্যান্ড কিউয়ের দর টানা চড়ছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে লিবরা ইনফিউশনের শেয়ার দর টানা বেড়ে চলেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারটির দর ৫০৭ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বেড়ে সর্বশেষ ৫৮৫ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত লেনদেন হয়েছে।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কে অ্যান্ড কিউয়ের শেয়ার দর ১৪২ টাকা ২০ পয়সা থেকে বেড়ে সর্বশেষ ১৬৭ টাকা ৮০ পয়সা পর্যন্ত লেনদেন হয়েছে। আর গত ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে এমবি ফার্মার শেয়ার দর ৩৯৮ টাকা থেকে বেড়ে ৪৪৯ টাকা ৪০ পয়সা পর্যন্ত লেনদেন হয়েছে।

এই দর বৃদ্ধিকে অস্বাভাবিক বলছে ডিএসই। তবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তিন কোম্পানি বলছে, অস্বাভাবিক শেয়ার দর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, লেনদেন মন্দায় টানা ছয় কার্যদিবসে অব্যাহত পতনে ভুগছে দেশের প্রধান এ স্টক এক্সচেঞ্জ। মাত্র ছয়দিনে ডিএসইর বাজার মূলধন প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা হারিয়েছে। পাশাপাশি বাজারের সার্বিক মূল্যসূচক ২৭০ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৮৩২ পয়েন্টে স্থিতি পেয়েছে।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারির পর থেকে টানা দর পতনে পুঁজিবাজার। ওই দিন ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৯৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা। রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন ৪ লাখ ৫ হাজার ৪৪৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকায় স্থিতি পেয়েছে।

অর্থাৎ এসময় ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ১৪ হাজার ৯৪৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।

এই পতনের মধ্যেও টানা বাড়ছে কিছু কোম্পানির শেয়ারদর। ডিএসই থেকে পাওয়া চিঠির জবাবে তাদের একটাই উত্তর- এর পেছনে কোনো অপ্রকাশিত তথ্য নেই।

এমবি ফার্মা, লিবরা ইনফিউশন ও কেঅ্যান্ডকিউয়ের মতো প্রায় এক ডজন কোম্পানির কাছ থেকে এই ছয় কার্যদিবসে অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির জবাব পেয়েছে ডিএসই।

এই তালিকায় রয়েছে অলটেক্স, এপেক্সফুড, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি, সাভার রিফ্র্যাক্টরিজ, ফাইন ফুডস, মেট্রো স্পিনিং ও এপেক্স ফুডস।

সুত্র: ব্রেকিংনিউজ.বিডি

পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন