বুয়েটে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গণশপথ, আবরার হত্যা আন্দোলনের সমাপ্তি

  16-10-2019 03:24PM

পিএনএস ডেস্ক :বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার পুনরাবৃত্তি ভবিষ্যতে যেন না হয় সেজন্য ক্যাম্পাসে সকল ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ রুখে দেয়ার দাবিতে গণশপথ নিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে বুয়েট মিলনায়তনে এ গণশপথ কর্মসূচি পালিত হয়। এসময় বুয়েটের কর্মকর্তা-কর্মচারিরাও উপস্থিত ছিলেন।

গেল ৫ অক্টোবর বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ফাহাদ। এর জের ধরে রবিবার রাতে বুয়েটের শেরে-বাংলা হলে নিজের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে বেধড়ক পেটানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পিটুনির সময় নিহত আবরারকে ‘শিবিরকর্মী’ হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালায় খুনিরা।

আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের পরই খুনিদের বিচারসহ ১০ দফা দাবিতে আন্দোলনে নামে বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ৭ অক্টোবর থেকে চলা এ আন্দোলনের সমাপ্তি ঘটলো আজকের এই গণশপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে। তবে আবরার হত্যার বিচারকাজ ও প্রশাসনের দেয়া আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

এদিকে গণশপথকে কেন্দ্র করে বুধবার বেলা ১১টার পর থেকেই বুয়েট ক্যাফেটেরিয়ার সামনে জড়ো হতে থাকে শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১২টায় সময় নির্ধারিত থাকলেও গণশপথ শুরু হয় দেড়টার দিকে।

আবরার হত্যার ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার আন্দোলনকারীরা জানিয়েছিলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট হওয়ার পর অভিযুক্তদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার না করা পর্যন্ত তারা কোনও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নেবেন না।

আবরার হত্যার ঘটনায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের ১১ নেতাকর্মীকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর দিন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি)। ইতোমধ্যে ১৯ জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ৪ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন