চক্ষুদান করে আমি ঠিক করেছি: বাঁধন

  26-11-2018 04:19PM

পিএনএস ডেস্ক: সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির ৩৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে মরণোত্তর চক্ষুদান করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বর্তমান প্রজন্মের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। এছাড়াও এদিন আরও চক্ষুদান করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম এবং লায়লা হাসান।

স্বেচ্ছায় মরণোত্তর চক্ষুদান প্রসঙ্গে আজমেরী হক বাঁধন বলেন, ‘আমি সব সময় চেয়েছি ভালো কিছু করতে, ভালো কিছুর সাথে থাকার জন্য। সে জন্য আমি যতটুকুই পারি ততটুকু দিয়ে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি। আর আমার এই চক্ষুদার তারই অংশ। আমি যখন থাকবো না তখন আমার এই দুই চোখ দিয়ে যদি অন্য একটি মানুষ পৃথিবী দেখতে পারে তাহলে সেটাই হবে আমার বড় পাওয়া।’

বাঁধন ডেন্টাল কলেজ থেকে পড়েছেন। ওই কলেজের শিক্ষক ডাঃ জয়নাল আবেদিন সন্ধানী চক্ষুদান সমিতির সঙ্গে যুক্ত। দুই বছর বাঁধন নিজেও বর্তমানে বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটির কার্য্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচিত সদস্য।

এ বিষয়ে বাঁধন বললেন, ‘আমার ডেন্টাল কলেজের স্যারকে আমি ধন্যবাদ দিতে চাই। কেননা তিনিই আমাকে এমন একটি কাজে যুক্ত হবার সুযোগ করে দিয়েছেন।স্যারের মাধ্যমে চক্ষুদান সমিতি সম্পর্কে জেনেছি। তবে চক্ষুদান করবো এটা কখনো ভাবিনি। শিক্ষকের অনুপ্রেরণায় চোখ দানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। চক্ষুদান করবার পর মনে হয়েছে, আমি ঠিক করেছি। মানুষের জন্য কিছু একটা করতে পারছি।

বাঁধন আরও বলেন, ‘তাদের এই মরণোত্তর চক্ষুদান একদমই স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম। তিনি চান তাদের দেখে যদি আরো মানুষ মরণোত্তর চক্ষু দান করতে উৎসাহী হয় তাহলে হয়তো অনেক অন্ধ লোখ পৃথিবী দেখতে পাবে। মারা যাওয়ার পর আমার চোখ দানের সিদ্ধান্ত বাবা-মা খুব ভালোভাবে নিয়েছে। গতকাল যখন আমি এই সিদ্ধান নিয়েছি তখন আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।

মুন্সীগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরের মেয়ে বাঁধন বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ থেকে বিডিএস পাশ করেন এবং ২০০৬ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপার স্টার প্রতিযোগিতায় রানার আপ হন।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন