সৌদির ক্রাউন প্রিন্স সালামানকে কি মেরে ফেলা হয়েছে?

  19-05-2018 11:05AM

পিএনএস ডেস্ক: গত ২৭ দিন ধরে জনসমক্ষে আসছেন না সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালামান। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে ক্রাউন প্রিন্সকে কেন প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না?

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মিডিয়া বলছে ক্রাউন প্রিন্সকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।

সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালামানের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না এমন খবর দিয়ে রুশ বার্তা সংস্থা স্পুটনিক ইন্টারন্যাশনাল দুটি ইরানি মিডিয়ার বরাতে বলছে, বেশ কিছুদিন ধরে তিনি জনসমক্ষে আসছেন না।

এমনকি ইরানি মিডিয়া প্রেসটিভি ও ফার্সি মিডিয়া, ফার্স ও খিহানের উল্লেখ করে স্পুটনিক বলছে, গত মাসে সৌদি আরবে যে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয়েছিল তখন ক্রাউন প্রিন্স নিহত হয়ে থাকতে পারেন।

এমনকি এধরনের অভ্যুত্থানের সময় সৌদি বাদশাহ সালমান একটি সামরিক বাঙ্কারে আশ্রয় নেন। এসময় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে অভ্যুত্থানকারীদের সংঘর্ষ শুরু হয়।

রিয়াদে রাজপ্রাসাদের কাছে একটি ড্রোন উড়তে দেখে তা গুলি করে নামানো হয় বলে সৌদি মিডিয়াগুলো এর আগে খবর দিয়েছিল। ক্রাউন প্রিন্সকে সে সময় একটি মার্কিন ঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয় বলে এক সৌদি বিশ্লেষক আল-আহমেদ দাবি করছেন।

তবে সৌদি কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানান, ওই ঘটনার সময় বাদশাহ সালমান রাজপ্রাসাদে ছিলেন না।

গত ২১ এপ্রিলে ওই অভ্যুত্থানের সময় ক্রাউন প্রিন্সের শরীরে দুটি গুলি লাগে। এ খবর গোয়েন্দাদের মাধ্যমে আরেকটি আরব দেশকে জানানো হয়।

সাধারণত ক্রাউন প্রিন্স প্রায়শ মিডিয়ার সামনে আসেন কিন্তু গত ২৭ দিন ধরে তিনি জনসমক্ষে আসছেন না।
এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও গত এপ্রিল মাসের শেষ দিকে যখন সৌদি আরব সফর করেন তখন ক্রাউনপ্রিন্সকে দেখা যায়নি। এসব ব্যাপারে সৌদি কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের বক্তব্য রাখেননি।

সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন উঠেছে ক্রাউন প্রিন্সকে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না কেন?

ইরানি মিডিয়াগুলোতে এ নিয়ে প্রতিবেদনগুলোতে নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্রের উল্লেখ না করলেও বেশ কিছু তথ্যের ভিত্তিতে দাবি করা হচ্ছে সৌদি যুবরাজ নিহত হয়েছেন।

প্রেস টিভিতে বলা হয়েছে, ওই ঘটনার পর থেকে সৌদি কর্তৃপক্ষ যুবরাজ সালমানের কোনো ছবি বা ভিডিও প্রকাশ করেনি।

যদিও খবরে বলা হচ্ছে, যুবরাজ সালমান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের সময় নৈশভোজে অংশ নিয়েছিলেন।

কিন্তু সৌদির বাদশা সালমান বিন আব্দুল আজিজ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবেইরের সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ছবি ছাড়া ক্রাউন প্রিন্সের কোনো ছবি প্রকাশিত হয়নি।

দ্য ফ্রন্টিয়ার পোস্টে ক্রাউন প্রিন্সের মৃত্যুর গুজব নিয়ে প্রকাশিত খবর।

কিছু সূত্র দাবি করেছে, সৌদি রাজপরিবারের যেসব সদস্য বাদশা সালমানের বিরোধী তারাই ২১ এপ্রিল হামলা চালিয়েছে। সৌদি কর্তৃপক্ষ এই ব্যাপারে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।

২২ এপ্রিল আল জাজিরা ও বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়, ২১ এপ্রিল রাতের অন্ধকারে সৌদি আরবের রাজপ্রাসাদে হঠাৎ গোলাগুলির ঘটনায় দেশটিতে অভ্যুত্থান চেষ্টা চলছে বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।

রাজপ্রাসাদের বাইরে গোলাগুলির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। বিকট গুলির শব্দ নানা গুঞ্জনের জন্ম দেয়। পরে সৌদি আরবের নিরাপত্তা বাহিনী দাবি করে, গুলি করে একটি ড্রোন নামানো হয়েছে। ড্রোনটি খেলনা বলে চিহ্নিত করেছে তারা।


পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন