যুদ্ধবিরতি চুক্তি: কায়রো বৈঠক ম্লান

  06-05-2024 03:52PM





পিএনএস ডেস্ক: অতি প্রত্যাশিত চুক্তি ছাড়াই শেষ হয়েছে কায়রোতে হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে সমঝোতা প্রচেষ্টা। সাত মাসের এই যুদ্ধ বন্ধের জন্য হামাস যে দাবি জানিয়েছিল তাতে ইসরাইল অসম্মতি জানিয়েছে। ফলে হামাস কর্মকর্তারা রোববার মিশরের রাজধানী কায়রো থেকে চলে গেছেন কাতারে। হামাসের কোনোদাবি ইসরাইল মেনে নেবে না, তার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, যুদ্ধ বন্ধের জন্য ‘আত্মসমর্পণের’ দাবি হবে পরাজিত হওয়া। কিন্তু তার বিরুদ্ধে আলোচনায় স্যাবোটাজ করার পাল্টা অভিযোগ এনেছেন হামাসের হাতারভিত্তিক রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

হামাসের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, মিশরীয় গোয়েন্দা বিষয়ক মন্ত্রীর সঙ্গে তাদের আলোচনা শেষ হয়েছে এবং হামাস প্রতিনিধিরা সেখান থেকে আরও আলোচনার জন্য দোহায় ফিরে যাচ্ছেন। মিশরীয় গোয়েন্দা সার্ভিসগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত আল কাহেরা নিউজ বলেছে, হামাসের সমঝোতাকারীরা মঙ্গলবার আবার কায়রো ফিরে যেতে পারেন।

ওদিকে কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানির সঙ্গে সমঝোতা প্রক্রিয়ায় জরুরি আলোচনার জন্য দোহায় ছুটে যাওয়ার কথা মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ পরিচালক বিল বার্নসের। ওদিকে রোববার কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরার ইসরাইলে সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে ইসরাইল। এই চ্যানেলটি সার্বক্ষণিক এই যুদ্ধ নিয়ে রিপোর্ট প্রচার করে।

বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দেয়ার অল্প সময়ের মধ্যে তাদের সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। ইসরাইলের এমন সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে আল জাজিরা। তারা একে ফৌজদারি অপরাধ বলে অভিহিত করেছে। বলেছে, এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।

ওদিকে এএফপির সাংবাদিক এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, রোববারও গাজা সিটিতে গোলা নিক্ষেপ করা হয়েছে। গুলি করা হয়েছে। মধ্য ও দক্ষিণ গাজায় হেলিকপ্টার থেকে গুলি করা হয়েছে। রাফায় একটি বাড়িতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। ইসরাইলি সেনাবাহিনী বিমান থেকে হামলা চালাচ্ছিল। এতে বেশ কিছু মানুষ নিহত হয়েছেন। এমন অবস্থায় রাফার বাস্তুচ্যুত উম্ম জামিল আল ঘুসেইন বলেছেন, আমরা যুদ্ধবিরতি চাই। দেখতে চাই গাজা কেমন ছিল। কান ইউনুসের বাস্তুচ্যুত আরওয়া সাকর বলেন, কায়রোতে সমঝোতা প্রচেষ্টা যে সফল হবে সেই আশা হারিয়ে ফেলেছেন তিনি।

শনিবার থেকে মিশরের রাজধানী কায়রোতে কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারীদের প্রস্তাবিত ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এর আগে নভেম্বরে এক সপ্তাহের জন্য প্রথম যুদ্ধবিরতি হয়েছিল। অন্যদিকে উগ্র জাতীয়তাবাদী জোট গঠন করে ক্ষমতায় নেতানিয়াহু। প্রতিদিনই তার ওপর চাপ বাড়ছে। শনিবার রাতে জিম্মিদের মুক্ত করার দাবিতে হাজার হাজার মানুষ তেল আবিবে বিক্ষোভ করেছে।


পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন