খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজিরের নতুন তারিখ নির্ধারণ

  28-03-2018 01:42PM


পিএনএস ডেস্ক: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আগামী ৫ এপ্রিল হাজির করার নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত। সে পর্যন্ত এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের শুনানি মুলতবি রাখা হয়েছে এবং ওই তারিখ পর্যন্ত খালেদা জিয়ার জামিন বৃদ্ধি করা হয়েছে।

রাজধানীর বকশীবাজারস্থ ঢাকা আলীয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ম বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালত আজ বুধবার এ আদেশ দেন।

আজ ২৮ মার্চ ও আগামীকাল ২৯ মার্চ খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ ছিল আদালতের।

কিন্তু আজ রাষ্ট্রপক্ষের পিপি মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতকে বলেন যে, কারাকর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন খালেদা জিয়া অসুস্থ। তাই তাকে আদালতে হাজির করা যাবে না। এরপর তিনি খালেদা জিয়াকে হাজিরের ব্যাপারে নতুন সময় চান। আদালত এ আবেদনের প্রেক্ষিতে নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।

আজ আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী হিসেবে ছিলেন আবদুর রেজাক খান, সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার ও আমিনুল ইসলাম।

পরে আমিনুল ইসলাম নয়া দিগন্তকে বলেন, আমরা আদালতকে জানিয়েছিলাম খালেদা জিয়া অসুস্থ। কারাকর্তৃপক্ষের আজকের এ রিপোর্টে সেটা প্রমাণিত হয়েছে। সেই সাথে আদালত খালেদা জিয়ার ব্যাপারে যে বলেছিলেন তিনি বয়স্ক ও অসুস্থ- এটাও প্রমাণিত হয়েছে।

এর আগে গত ১৩ মার্চ রাজধানীর বকশীবাজারে আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান ২৮ ও ২৯ মার্চ খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসানকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। এ মামলায় অন্য আসামি খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। রায়ের পর খালেদা জিয়াকে রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে খালেদা জিয়া সেখানেই বন্দি রয়েছেন।

১২ মার্চ খালেদার চার মাসের অন্তবর্তী জামিন মঞ্জুর করেন উচ্চ আদালত। ১৯ মার্চ আপিল বিভাগ ৮ মে পর্যন্ত খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত করেন।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন