মিলনের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

  26-11-2018 02:46PM

পিএনএস ডেস্ক : সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আ ন ম এহছানুল হক মিলনের বিরুদ্ধে দায়ের করা ৪টি মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন চাঁদপুরের দু’টি আদালত।

সোমবার দুপুরে মিলনের উপস্থিতিতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সারওয়ার আলমের আদালতে ১৪টি মামলায় জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। পরে শুনানি শেষে ২টি মামলায় জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত। আর ১২টি মামলার আদেশ পরে দেয়া হবে বলে আদালত জানান।

এরপর তাকে নেয়া হয় অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মো. কায়সার ইউসুফের আদালতে। সেখানেও ২টি মামলার শুনানি শেষে জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

মিলনের আইনজীবী কামরুল ইসলাম জানান, রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্য ২০০৬ সাল থেকে মিলনের বিরুদ্ধে ২৬টি মিথ্যা মামলা করা হয় । এসব মামলার আসামি হয়ে ২০১০ সালে তিনি চাঁদপুর আদালতে হাজির হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে তিনি দীর্ঘ সময় জেলে থাকার পর জামিন পেলেও অসুস্থ হয়ে পড়েন।

পরে তিনি চিকিৎসা এবং ওমরার জন্য দেশের বাইরে যান। এরপরও তার বিরুদ্ধে হয়রানি মামলা থেমে থাকেনি। চাঁদাবাজি, ভ্যানিটিব্যাগ চুরি, থালাবাসন চুরি, পুকুরের মাছ চুরি, হত্যা, হত্যার চেষ্টা ইত্যাদি মনগড়া সব মামলা দেয়া হয়। যার কোন ভিত্তি নেই। আমরা বারবার তার জামিন চেয়েও পাইনি।

তিনি বলেন, মিলন দেশের একজন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। কচুয়া-১ আসন থেকে তিনি তিনবার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। এবারও তিনি বিএনপি থেকে নির্বাচন করবেন। কিন্তু এ অবস্থায় তিনি সে পরিবেশ কিভাবে পাবেন?

আইনজীবী বলেন, প্রায় সবগুলো মামলাতেই মিলন জামিনে ছিলেন। কিন্তু অসুস্থতার জন্য তিনি বিদেশে গেলে তিনি আর নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিতে পারেননি।

আদালতে বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত পিপি ছাইয়েদুল ইসলাম বাবু, অ্যাড. হেলাল উদ্দিন ও রেজা পাহলভী শেলি।

এর আগে গত শুক্রবার গভীর রাতে গোয়েন্দা পুলিশ চট্টগ্রাম নগরীর চট্টেশ্বরীর বিএনপি নেতা শাহ আলমের বাসায় অভিযান চালিয়ে সাবেক মন্ত্রী মিলনকে আটক করে। পরদিন ১৭টি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মিলনকে ৩টি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সফিউল আজম তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

পরে গত রোববার দুপুরে ২০১০ সালের ২ ডিসেম্বর কচুয়া উপজেলার একটি মারামারি সংক্রান্ত মামলায় মিলনের অনুপস্থিতিতে জামিন বিষয়ে শুনানির পর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তার জামিন নামঞ্জুর করেন।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন