‘নির্বাচন করতে পারবেন না খালেদা জিয়াসহ দণ্ডপ্রাপ্তরা’

  26-11-2018 09:12PM

পিএনএস ডেস্ক : বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ দণ্ডপ্রাপ্তরা আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না বলে মন্তব্য করেছেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ।

মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসি কার্যকর হওয়া সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায় ফাঁসের মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আইনজীবী ব্যারিস্টার এ কে এম ফখরুল ইসলামের দণ্ড স্থগিত চেয়ে করা আবেদন হাইকোর্টে খারিজের পর সোমবার এ মন্তব্য করেন তিনি।

সকালে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ ব্যারিস্টার ফখরুলের আবেদনটি পর্যবেক্ষণসহ খারিজ করেন। বিচারিক আদালতের দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তা স্থগিতের বিধান নেই বলেও আদেশ দেন।

আবেদনের পক্ষে ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ।

ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘দণ্ড স্থগিত চেয়ে আপিল করেছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল। তবে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। যার ফলে তার দণ্ড বহাল আছে।

এই আদেশের ফলে দণ্ডপ্রাপ্তরা আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সাজা স্থগিত হলে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারতেন। এ আদেশের ফলে তাদের আর নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকলো না। খালেদা জিয়াসহ যে রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে সুপ্ত ইচ্ছা ছিলো যে, আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণ করতে পারবেন। সেই ইচ্ছাটা আপাতত বাতিল হয়ে গেলো।’

আদেশের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেছেন, আপনারা ইচ্ছা করলে এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যেতে পারেন। আপিল বিভাগ এ ব্যাপারে একটা প্রিন্সিপাল সেটেল করতে পারেন। পরবর্তীতে হাইকোর্টও সেটা অনুসরণ করতে পারেন।’

তিনি বলেন, ‘ফৌজদারি কার্যবিধির এমন কোনো সেকশন নেই যেটা অনুসরণ করে সাজাটা স্থগিত করা যাবে। যার কারণে পর্যবেক্ষণ দিয়ে তার আবেদন খারিজ করেছেন হাইকোর্ট।’

২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর রায় ফাঁসের দায়ে ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামকে ১০ বছর এবং ম্যানেজার মাহবুবুল হাসান, ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের জুনিয়র আইনজীবী মেহেদী হাসান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কর্মচারী ফারুক আহমেদ ও নয়ন আলীকে সাত বছর করে কারাদ- দেন বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম শামসুল আলম।

রায়ে অন্য দুই আসামি সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী ও ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী খালাস পান।

ব্যারিস্টার ফখরুলকে দশ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয়মাস এবং অন্য চারজনকে দশ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ছয়মাস করে কারাদণ্ডও দেওয়া হয়। এ দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের পর ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল কারাদ-প্রাপ্ত আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামকে জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। তার আপিল বিচারাধীন রয়েছে। এ অবস্থায় তিনি দণ্ড স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন