নতুন করে ঋণ নিতে পারবেন না ঋণখেলাপিরা

  08-07-2019 01:07PM

পিএনএস ডেস্ক : ঋণ খেলাপিদের বিশেষ সুবিধা দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সার্কুলার স্থগিত করা হাইকোর্টের আদেশ ২ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। তবে এই সময়ে ওই নীতিমালার সুবিধাভোগীরা নতুন করে ঋণ নিতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। অর্থাৎ, আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রজ্ঞাপনের সুবিধাভোগী ঋণখেলাপিরা দুই মাস কোনও ঋণ পাবেন না।

সোমবার (০৮ জুলাই) আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আর রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

একই সঙ্গে, ব্যাংকের ঋণ বিধি ও নীতি-সংক্রান্ত রিটের এই মামলাটি হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শুনানির জন্য বলেছেন আদালত।

গত ১৬ মে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে ‘ঋণ পুনঃতফসিল ও এককালীন এক্সিট সংক্রান্ত বিশেষ নীতিমালা’ জারি করে ব্যাংকগুলোয় পাঠানো হয়। এ নীতিমালা অনুযায়ী, খেলাপি ঋণের অনারোপিত সুদ মওকুফ সুবিধার পাশাপাশি খেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যাংকের দায়ের করা মামলাও স্থগিত রাখার কথা বলা হয়। এছাড়াও আরেকটি সার্কুলারে বলা হয়, যারা নিয়মিত ঋণ শোধ করেন,তাদের সুদে ১০ শতাংশ রেয়াতি সুবিধা দেওয়া হবে।

পরে ওই সার্কুলারের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। ওই রিটের শুনানি নিয়ে সার্কুলারের কার্যক্রম স্থগিত রাখার এবং একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করে বিগত ২০ বছরে দেশের ঋণখেলাপি ও অর্থ পাচারকারীদের তালিকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের সম্পূরক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরে ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি ব্যাংকিং খাতে অর্থ আত্মসাৎ, ঋণ অনুমোদনে অনিয়ম,বিভিন্ন প্রাইভেট ও পাবলিক ব্যাংক সমূহে ব্যাংক ঋণের ওপর সুদ মওকুফ সংক্রান্ত বিষয় তদন্ত এবং তা বন্ধে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য কমিশন গঠন করার অনুরোধ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ ৫টি মন্ত্রণালয়ের সচিবদের একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল।

বাংলাশে ব্যাংকের গভর্নর ছাড়াও নোটিশপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন, মন্ত্রী পরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব এবং আইন মন্ত্রণালয় সচিব।

মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইআরপিবি) পক্ষে এ নোটিশ পাঠানো হয়।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন